পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ Վ)6 ծ AAAAAA AAAA AAAAAS S SAAAAA AAAA AAA AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAMAAA SAAAAA AAAA AAA AAAA AAAAeeAAA AAAA AAAASAAAA AMAeeA AeeAM MAMAeeeeeeSMSAA AAAA AAAAA প্রায় আধ ঘণ্টকাল বিভিন্ন পথে ঘুরিয়া অবশেষে টাইগার' পূৰ্ব্ববর্ণিত ইক্ষু ক্ষেত্রে আসিল ; যে স্থানে বায়রামের গুলিতে আমিন। আহত হইয়া ভূমিতলে লুষ্ঠিত হইয়া পড়িয়া ছিল, টাইগার’ সেইখানে গিয়া লাজুল আন্দোলিত করিয়া ঘুরিতে লাগিল । বুদ্ধিমান এজর সাহেব বুঝিলেন, নদীতীরবত্তী এই নিভৃত প্রান্তরে ইক্ষুক্ষেত্রের অন্তরালে, প্রেমিক যুগলের মিলন হইয়া থাকে। এজরা সাহেব ইক্ষুক্ষেত্রটি প্রদক্ষিণ করিয়া আসিয়া, সঙ্কীর্ণ পথ-সন্নিহিত একটি বৃক্ষমূলে শিলাসনে উপবিষ্ট হইলেন। তিনি গাঢ় চিন্তায় অভিভূত হইলেন। টাইগার' তাহার পদপ্রান্তে বসিয়া অদূরবর্তী বৃক্ষ শাখাস্থিত একটি কাঠবিড়ালীর গতিবিধি পর্য্যবেক্ষণ করিতেছিল, হঠাৎ সে উঠিয়া উৎফুল্ল ভাবে ডাকিতে লাগিল । এজর সাহেব চুরুট টানিতেছিলেন, টাইগারের ভাব দেখিয়া তিনি উঠিয়া দাড়াইলেন, বলিলেন, "বুঝিয়াছি সে আসিতেছে ; এখনই দেখিব, কে আমার চিরজীবনের সঙ্কল্প ব্যর্থ করিতে উদ্যত হইয়াছে।” এজর সাহেবের অম্বুমান মিথ্যা হয় নাই ; তিনি দেখিলেন, সেই পথের প্রাস্ত হইতে স্থবেশধারিণী সুন্দরী যুবতী গজেন্দ্রগমনে সেই দিকে আসিতেছে । তিনি একটি গাছের অন্তরালে সরিয়া দাড়াইলেন, এবং অষ্ঠের অদৃষ্ঠভাবে প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমিন টাইগারের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল, টাইগার' লাজুল নাড়িয়া হর্ষ সূচক শব্দে তাহার অভিনন্দন করিল। দুই মিনিট অতীত হইতে না হইতেই এজরা সাহেব বৃক্ষের অন্তরাল হইতে আমিনার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন। বৃদ্ধকে দেখিবা মাত্র