পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ "br○ হঠাৎ বিদ্যুতের মত র্তাহার মনে একটা সন্দেহের সঞ্চার হইল ; আমিন তাহার পিতাকে নষ্ট করিবার অভিপ্রায়ে গোপনে ওস্তাদের সহিত ষড়যন্ত্র করে নাই ত ? পিতার প্রতি তাহার আস্তরিক ঘৃণা ও ক্রোধ যাহাতে বদ্ধিত হয়, সেই জষ্ঠ তাহারা উভয়ে সুকৌশলে চেষ্ট। করিতেছিল, এখন তিনি তাহা স্পষ্ট বুঝিতে পারিলেন ; উভয়ের মধ্যে কোন গুপ্ত ষড়যন্ত্র না থাকিলে এ তীব্র বিষ কৌশলে তাহার হস্তে প্রদত্ত হইবে কেন ?--আমিনার প্রতি বায়রামজির যে হৃদয়তরা প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল, তাহ নিদারুণ ঘৃণায় পরিণত হইল । নানা দুশ্চিস্তায় সেই চেয়ারের উপর বসিয়াই বায়রামজি রাত্রি কাটাইয় দিলেন, রাত্রে তিনি একবারও চক্ষু মুদ্রিত করিতে পারিলেন না, প্রভাতে আবার ডাক্তারু আসিলেন । ডাক্তার এজরা সাহেবের দেহ যন্ত্রাদি সাহায্যে অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত পরীক্ষা করিয়া বলিলেন, তাহার প্রাণরক্ষণ হইবে সন্দেহ নাই, কিন্তু ইহজীবনে তাহার জ্ঞানবুদ্ধি আর ফিরিয়া আসিবে না, যতদিন বাচিবেন, বাহ্যজ্ঞানহীন জড়ের দ্যায় তাহাকে কালযাপন করিতে হইবে । • এজরা সাহেবের শরীর ক্রমেই সুস্থ হইতে লাগিল, এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি; শয্যাত্যাগে সমর্থ হইলেন, কিন্তু ডাক্তারের কথা ফলিল, র্তাহার চক্ষুর অস্বাভাবিক ভাব দেখিয়া সকলেই বুঝিতে পারিল, তিনি পাগল হইয়া গিয়াছেন । বায়রামজি ৰ্তাহার অপরাধের গুরুত্ব বুঝিয়া স্বকৃত পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য প্রস্তুত হইলেন। ইতিমধ্যে তিনি একদিন শুনিতে পাইলেন,