পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ WSXS) জেমসেটুজি বলিলেন, “তোমার মাতা তোমার পিতার বিবাহিত পত্নী ছিলেন না।” o সেই কক্ষে যদি সেই মুহূর্তে বজ্রপাত হইত, তাহ হইলেও বোধ হয় প্রেমজি এত চমকিত হইত না। জেমসেটুজির কথায় সে ক্ষণকাল স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রহিল ; জাহার পর বলিল, “আমি জানিতাম না যে, আপনার বন্ধু হীরাজি আমার সম্বন্ধে এত খুটিনাটি সংবাদ সংগ্ৰহ করিয়াছেন।” জেমসেটুজি বলিলেন, “তোমার সম্বন্ধে আমি আরও অনেক কথা জানি ; তোমার ভরণপোষণের জন্য বার্ষিক ছয়শত টাকা বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত ছিল ; এই টাকা তোমার মা কোনও ভদ্রলোকের নিকট পাইতেন।” এই কথায় প্রেমজি একবারে চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইল, স্তম্ভিত ভাবে জেমসেটুজির মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “এ সংবাদ আপনি কোথায় পাইলেন ? আমি বোম্বাই সহরে আসিয়া পর্য্যস্ত একথা কাহারও নিকট প্রকাশ করি নাই।” জেমসেটুজি মুখ না তুলিয়াই বলিলেন, “কার্য্যামুরোধে ইহা অপেক্ষ অনেক গুরুতর সংবাদও আমাকে রাখিতে হয় ; যাহা হউক, আমার নিকট কোনও কথা প্রকাশ করায় তোমার আশঙ্কার কারণ নাই ; তুমি সচ্ছন্দে আমাকে সকল কথা বলিতে পার । তোমার ভরণপোষণের টাক তোমার মা কয়মাস অস্তর পাইতেন ?” প্রেমজি বলিল, “তিনমাস অন্তর।” জেমসেটুজি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ টাকা কাহার নিকট হইতে আসিত বলিতে পার ?”