পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ NOb এক দুই করিয়া সাত দিন চলিয়া গেল, কিন্তু বায়রামজির সহিত আর তাহার সাক্ষাৎ হইল না, তাহার কোন চিঠি পত্রও পাইল না । সাত দিন তাহার নিকট সাত বৎসর মনে হইতে লাগিল । সাত দিনের মধ্যেও যখন আমিন বায়রামজির নিকট হইতে কোন সংবাদ পাইল না, তখন সে পূৰ্ব্ব অপমান ভুলিয়া গিয়া অধীর চিত্তে আবার ওস্তাদের সহিত সাক্ষাৎ করিল। ওস্তাদ তাহাকে বলিল, “সকল আশা শেষ হইয়াছে, বিষ যতটুকু দেওয়া উচিত ছিল, বায়রাম ততখানি না দেওয়ায় বৃদ্ধ শয়তান মরে নাই ; কিন্তু সে পাগল হইয়া গিয়াছে। মনে করি ও না ইহাতে তোমার, সুবিধা হইবে, কারণ আজ সকালে রেডিমণি সাহেবের মুখে শুনিয়াছি--বায়রামজি বলিয়াছে তাহার কন্যাকেই সে বিবাহ করিবে ; শীঘ্রই বিবাহ হইবে । তুমি বায়রামের আশা ত্যাগ কর।” Ψ ওস্তাদের কথা শুনিয়া আমিনার মাথায় যেন বজ্ৰাঘাত হইল, সে অত্যন্ত ব্যাকুল ভাবে বাড়ী আসিয়া শুনিল, বাড়ীতে ক্ৰন্দনের রোল উঠিয়াছে। আমিনার একমাত্র সহোদর বোম্বাইয়ে থাকিয়া লেখা পড়া করিত ; টেলিগ্রাম আসিয়াছিল হঠাৎ কলেরায় তাহার মৃত্যু হইয়াছে । তাহার পিতা মাতা পুত্ৰশোকে আকুল হইয় অঞ পাত করিতেছিলেন । ভ্রাতার মৃত্যু সংবাদে আমিনা অত্যন্ত দুঃখিত হইল, কিন্তু সেই সঙ্গে এ কথাও তাহার মনে হইল যে, যদি কয়েক দিন পূৰ্ব্বে তাহার মৃত্যু হইত, তাহা হইলে বায়রামজিকে বিবাহ করিবার জন্য তাহাকে এমন হীন ষড়যন্ত্রে যোগদান করিতে হইত না ; বায়রামজিকেও পিতৃহত্যা পাপে লিপ্ত করিবার আবশ্যক হইত না । যে কুমারী লক্ষ