পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ "రీసె এইরূপ উন্মত্ত ভাবে ততদিন ঘুরিয়া বেড়াইবেন । এ জন্য দায়ী কে? দায়ী তোমার পৈশাচিক প্রবৃত্তি। তুমি আমাকে কি মুখের প্রলোতন দেখাইতেছ? যাহার সম্মুখে এই প্রেতের মূৰ্ত্তি দিবা রাত্রি বিচরণ করিতেছে, তাহার মুখ কোথায় ? অামিন। যাও, ফিরিয়া যাও, আমার মুখের স্বপ্ন ভাঙ্গিয়াছে ; আমি আর তোমার মুখ দর্শন করিব না ।” ক্রুদ্ধ ফণিনী দংশনোদ্যতা হইয় যে ভাবে ফণা বিস্তার করে, সেইভাবে মুখ তুলিয়। আমিনা কম্পিত কণ্ঠে বায়রামজিকে বলিল,“বায়রাম, আজ তুমি আমার যে অপমান করিলে একদিন আমি ইহার প্রতিফল দিব । আমি ত ডুবিয়াছি, কিন্তু তোমার সৰ্ব্বনাশ না করিয়। আমি ছাড়ি না। আবার তুমি আমার কাছে অসিবে, আমার পায়ে ধরিয়া সাধিয়। প্রেম ভিক্ষ করিবে ; কিন্তু আমার পদতলে লুটাইলেও আমি আর তোমাকে ক্ষমা করিব না। তোমার সর্বনাশ, ইহাই আমার জীবনের পণ ।”