পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ \లిషా( বায়রামজি দাদাচান্‌জির নিকট বিদায় লইয়া বাড়ীর দিকে অগ্রসর হইলেন । তিনি বাড়ীর সম্মুখে একটি সণকোর উপর আসিবামাত্র ফুলিয়া স'কোর আড়াল হইতে বাহির হইয় তাহার হস্তে একখানি পত্র দিল । তখন সন্ধ্যা গাঢ় হইয়া আসিতেছিল । বায়রামজি সেইখানে দাড়াইয়া দাড়াইয়। পত্ৰখানি খুলিয়া তাহ পাঠ করিলেন ; বলা বাহুল্য, ইহা জামিনার পত্র । আমিন লিখিয়াছিল,— “তুমি বলিয়াছিলে তোমার প্রতি আমার ভাল বাসা নাই, কিন্তু আমি তোমাকে কত ভাল বাসি, আজ তাহার প্রমাণ দিতে প্রস্তুত আছি। আমি কুলমানে জলাঞ্জলি দিয়া আজ রাত্রেই তোমার সঙ্গে দেশান্তরে যাইবার আয়োজন করিয়াছি ; তোমার জন্য আমি এ জীবন উৎসর্গ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছি। অভাগিনীর হৃদয় বুঝিয়া তাহার প্রতি দয়া কর, তাহাকে রক্ষা কর। আজ রাত্রেই আমাদের গৃহত্যাগ করিতে হইবে, আজ না হইলে আর জীবনে তাহা হইবে না।” পত্রখানি পাঠ করিয়া বায়রামজির আপাদ মস্তক কম্পিত হইয়া উঠিল ; তিনি সরোষে বলিল, “আমিনা আমাকে এমন পত্র লিখিতে সাহস করিয়াছে ? আবার সে আমাকে কোন ফঁাদে ফেলিয়া আমার জীবন বিড়ম্বনাপূর্ণ করিতে চায়? সে আমাকে স্পষ্ট বলিয়া গিয়াছে, আমার সর্বনাশ সাধনই তাহার জীবনের পণ ; তবে এখন আবার এ ভালবাসার অভিনয় কেন ?” বায়রামজি মাথা তুলিয়া পথের দিকে চাহিলেন ; সন্ধ্যার অস্পষ্ট আলোকে দেখিতে পাইলেন, তাহার পিতা পাগলের মত বকিতে