পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ ঘৃতাহুতি বায়রামজি কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হইয়া, আমিন পিতৃগৃহে ফিরিয়া আসিল ; তাহার হৃদয় ক্রোধে ও ক্ষোভে আলোড়িত হইতে লাগিল । বায়রামজির প্রতি তাহার যে ক্রোধ জন্মিয়াছিল, সেই ক্রোধ সে এলিজার স্কন্ধে চাপাইল ; সে মনে করিল, এলিজার জন্যই তাহার এ সৰ্ব্বনাশ হইল, অতএব যেমন করিয়া হউক, প্রথমে এলিজার সর্বনাশ করিতে হইবে, তাহার সুখের নন্দন কাননে সে দাবানলের স্থষ্টি করিবে । পচিশ বৎসর বয়স পর্য্যস্ত কাসে টজি মেটা বিবাহ করেন নাই, এ পর্য্যন্ত তিনি কোন যুবতীর প্রেমেও আকৃষ্ট হন নাই ; সন্ত্রান্ত পারসী সমাজে তিনি সৰ্ব্বদা মিসিলেও স্ত্রীরূপে গ্ৰহণ করিতে পারেন এরূপ একটি যুবতীকেও তিনি দেখিতে পান নাই ; কিন্তু “প্যারাডাইস’ ভবনে আমিনাকে দেখিয়া ও তাহার সহিত আলাপ করিয়া তিনি বুঝিতে পারিলেন, নারী জাতির মধ্যে আমিনা রত্নস্বরূপিণী ; যদি তিনি তাহাকে লাভ করিতে পারেন, তাহা হইলে তাহার সকল আশা পূর্ণ হইবে। সেই সময় হইতে কাসে টজি আমিনার মনোরঞ্জনের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করিয়াছেন ; কিন্তু আমিনা তখন বায়রামের প্রেমে