পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ 88X রহস্ত ভেদ হইলে, যে বাচিয়া থাকিবে,নরহত্যাপরাধে তাহাকে রাজারে অভিযুক্ত হইতে হইবে; বিচারে তাহার প্রাণদণ্ড হওয়া বিচিত্র নহে। তোমার হস্তে যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহা হইলে আমার দেহ যে ঐ বাগানের মধ্যে প্রোথিত আছে, এ কথা প্রকাশ হইবার সম্ভাবনা নাই, কারণ তুমি এই বাগানের মালিক; তুমি অনায়াসেই উপযুক্ত সাবধানত৷ অবলম্বন করিতে পারিখে । কিন্তু আমার হস্তে যদি তোমার মৃত্যু হয়, তাহা হইলে অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ দাড়াইবে ; বাগানের ভিতর হইতে তোমার মৃতদেহ খুজিয়া বাহির কর পুলিশের বা তোমার তৃত্যগণের প:ক্ষে কঠিন হইবে না ; আমাকে নরহত্যাপরাপে অভিযুক্ত হইতে হইবে। ফণসী যাইতে আমার ইচ্ছা নাই ।” হঠাৎ বায়রামজির মনে পড়িল এই দুর্ঘটনার কথা অন্ততঃ একজনও জানিতে পরিবে; যে বেনামী পত্র লিথিয় তাহাকে সাল পান করিয়াছে, পরদিন প্রভাতেই সে সকল বৃহস্ত বুঝিতে পারিরে। বায়রামজি ক্ষণকাল চিস্তা করিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, "তোমার প্রস্তাব কি ?” সাপুরজি বলিলেন, “যুদ্ধারম্ভের পূর্কে আমরা দুইখানি পত্র লিখিপ, তাহার মৰ্ম্ম এই যে, যেন আমর। হঠাৎ কোনও কার্য্যোপলক্ষে দেশত্যাগ করিয়াছি । যে মরিবে তাহার পত্র ভারতবর্ষের লাহিরের কোনও দেশ হইতে ডাকে এখানে পাঠাইতে হইবে, পুলিসের ও সাধারণের চক্ষে ধূলি নিক্ষেপের জন্য এই ভাবে চেষ্টা করিতে হইবে।” বায়রামজি এ প্রস্তাবে সম্মত হইয়া বলিলেন “আমার বাড়ীর কিছু উত্তরে রাস্তার মোড়ের উপর একজন প্রহরী আমার ঘোড়া ধরিয়া আছে ; তাহাকে পাচ টাকা বক্শিশ দিতে হইবে ।”