পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ পরিচ্ছেদ 8ግ@ নাই ; কিন্তু তুমি আমার পুত্রের গুণ অবগত আছ, হতভাগাকে লইয়া আমি বড় জালাতন হইয়া মরিতেছি ।” নওরোজি বলিলেন, “আপনার পুত্র নবীন মুম্বক ; তাহার ছৰ্ব্বলতা আপনি মার্জনা করিবেন।” কাম সাহেব বলিলেন, "ই সে নবীন যুবক বটে, কিন্তু কুকৰ্ম্মে সে প্রবীন হইয়া উঠিয়াছে ; এমন পাপ নাই, যাহাতে সে অমত্যস্ত। এখন যে কিরূপে তাহাকে ফিরাইব, তাহা বুঝিতে পারিতেছি না । পুল্লস্নেহের বশবর্তী হইয়া এত দিন সাবধান হই নাই এখন মূঢ়তার ফল ভোগ করিতেছি ; কোথা হইতে সে একটা বেশ্য জুটাইয়াছে, তাহার মনোরঞ্জনের জন্য সে আমার যথাসৰ্ব্বস্ব নষ্ট করিতে উদ্যত হইযাছে ! আমি আর কয় দিন বাচিব ? আমার মৃত্যুর পর হতভাগ৷ সৰ্ব্বস্বাস্ত হইবে । আমি তাহার রক্ষিতা সেই যুবতীটাকে কিছুদিনের জন্য স্থানান্তরে লুকাইয়া রাখিয়াছি, কিন্তু জাহাঙ্গীর আমাকে ভয় দেখাইয়াছে, যদি ছুড়ীকে ছাড়িয়া না দিই, তাহা হইলে সে আত্মহত্য করিবে । আধুহত্যার ত কিছু বাকী দেখিতেছি না ; তুমি খুব বুদ্ধিমান, ছোড়াট। যাহাতে রক্ষা পায়, তাহার একটা উপায় করিতে পার ?” নওরোজি বলিলেন, “এ বিষয়ে আমি আপাততঃ আপনাকে কোন আশা দিতে পারিতেছি না। একবার আমি জাহাঙ্গীরঞ্জির সহিত দেখা করিয়া আসি, তাহার মনের ভগব কি, তাহাই অগ্ৰে জানিতে হইবে।” জাহাঙ্গীরজির সহিত নওরোজির পুৰ্ব্ব হইতেই বন্ধুত্ব ছিল, বৃদ্ধের নিকট হইতে উঠিয় নওরোজি জাহাঙ্গীরজির সহিত সাক্ষাৎ করিলেন ।