পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& X > নন্দনে নরক হীরাজি তৎক্ষণাৎ তাহার পকেট হইতে একটি ক্ষুদ্র পিস্তল বাহির করিয়া মেটা সাহেবের সম্মুখে উদ্যত করিল ; ধীরে ধীরে বলিল, “মহাশয় সাবধান, আপনি আমার অঙ্গ স্পর্শ কারলে এই পিস্তলের গুলি আপনার মস্তিষ্কে প্রবেশ করিবে । আপনি অন্যায় রাগ করিতেছেন ; আমি কি আপনাকে মিথ্যা কথা বলিয়াছি ? আমার কথা যদি মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়, তাহা হইলে একবার কেন, আমি আপনার শত পদাঘাত সহ করিতে প্রস্তুত। কিন্তু আমার কথা সম্পূর্ণ সত্য ; আপনার কন্যা একটা অজ্ঞাত কুলশীল শ্রমজীবির প্রেমে উন্মত্ত হইয়া লজ্জা সরমে জলাঞ্জলি দিয়াছেন। আপনি সেই যুবকের নাম জানিতে চাহেন ? তাহার নাম নওরোজি, সে রংয়ের মিস্ত্রী, লোকের ঘর বাড়ী চিত্রিত করিয়া জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করে ।” মেটা সাহেব নিদাঘ-অপরাহ্নের বর্ষনোন্মুখ মেঘের ন্যায় অত্যন্ত গম্ভীর মুখে বলিলেন, “তুমি আমার কন্যার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কদৰ্য্য অভিয়োগ উপস্থিত করিয়াছ ; তোমার কথা যে সত্য, ইহার কোনও প্রমাণ আছে ?” o হীরাজি বলিল, “আপনি কি মনে করেন,আমি প্রমাণ গুলি পকেটে পুরিয়া আনিয়াছি ? পাচ সাত দিন সময় দিলে, আমি আপনাকে উপযুক্ত প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া দিতে পারি। , কিন্তু আপনার কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য এতদিনও বিলম্ব করিবার আবগুক নাই ; আমার কথা যে সত্য,তাহা অতি অল্প চেষ্টাতেই বুঝিতে পারিবেন,—নং আবদর রহমান ষ্ট্রীটে নওরোজির বাসায় উপস্থিত হইলে, তাহার গৃহে বস্ত্রমণ্ডিত একখানি তৈল চিত্ৰ দেখিতে পাইবেন, সেখানি আপনার কন্য।