পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ૭૨ নন্দনে নরক মেটা সাহেব বলিলেন, “তোমার আপত্তি না থাকিলে, ছবিখানি খুলিয়া দেখাইতে পার, উহা দেখিবার জন্য আমার আগ্রহ হইয়াছে।” নওরোজি চিত্রপটের আবরণ উন্মোচন করিলেন ; মেটাসাহেব কর্ণেলিয়ার তৈলচিত্র দেখিয়া বিস্ময় দমন করিতে পারিলেন না; নওরোজির ন্যায় একজন অখ্যাতনামা চিত্রকর যে এমন সুন্দর নিখুত উজ্জ্বল চিত্র অঙ্কিত করিতে পারেন, তাহা তিনি পূৰ্ব্বে অনুমান করিতে পারেন নাই। মেটা সাহেব প্রশংসমান নেত্রে অনেকক্ষণ ধরিয়া সেই ছবির দিকে চাহিয়া চাহিয়া অবশেষে বলিলেন, “অতি চমৎকার ছবি হইয়াছে।” তাহার পর নিয়স্বরে কি বলিলেন, নওরোজি তাহ শুনিতে পাইলেন না। আরও কয়েক মিনিট কাল মনোযোগের সহিত সেই চিত্ৰখানি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া মেটা সাহেব নওরোজির দিকে চাহিলেন, তাহার দৃষ্টিতে সহৃদয়ত ও সহানুভূতি সুপরিস্ফুট হইয়। উঠিল ; তিনি প্রসারিত হস্তে নওরোজির হস্ত ধারণ করিয়া বিচলিত স্বরে বলিলেন, “নওরোজি, তুমি প্রতিভাবান চিত্রকর ; আমি জানি দারিদ্র্য অপরাধ মহে, সকলেই • চিরজীবন দরিদ্র থাকে না । আমি তোমাকে আমার যে পরিচয় দিয়াছি তাহ আমার সত্য পরিচয় নহে ; আমার সার নাম কাসে টজি মেট। কর্ণেলিয়া আমারই কন্য। কতকগুলি নরপিশাচ ষড়যন্ত্র করিয়া তোমার ও আমার বক্ষের রক্তপানের জন্য ছুরিকা উদ্যত করিয়াছে, যদি আমরা তাহাদিগকে নিরস্ত্র ও পরাস্ত করিতে পারি, তাহা হইলে কর্ণেলিয়াকে আমি তোমার হস্তে সম্প্রদান করিব। তুমি তাহার প্রেমের আৰোগ্য নহ ।” - * *