পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ー-ー三2○央三千ー= বড়ঘরের কথা বোম্বাইনগরের এপলে বন্দর পল্লী কলিকাতার চৌরঙ্গীর মতই সমুদ্ধি সম্পন্ন ; সেখানে বড় বড় সওদাগরি আফিস, পান্থনিবাস, সেলারস হোম, ক্লাব, কষ্টমূহাউস প্রভৃতি সুবৃহৎ অট্টালিকা আছে, অনেক লক্ষপতির সুবিস্তীর্ণ রম্য অট্টালিকারও অভাব নাই । ইহাদের মধ্যে "রেষ্ট” নামক একটি প্রকাণ্ড সৌধে বোম্বাইনগরের সুবিখ্যাত ধনপতি সার কাসে। টজি,মেটা সপরিবারে বাস করিতেন । পাশ্চাত্য ভাবাপন্ন বিলাসী ধনকুবেরগণের বাসগৃহ সমূহ যে প্রণালীতে নিৰ্ম্মিত, এই অট্টালিকাটিও সেইরূপ,—সেইরূপ সুপ্রশস্ত সুসজ্জিত সুপরিচ্ছন্ন কক্ষশ্রেণী ; অট্টালিকা-সংলগ্ন উদ্যানে সেইরূপ বহু জাতীয় ফুল ফল ও পাতাবাহারের গাছ ; গাছে গাছে বনবিহঙ্গের সুমধুর কুজন ; নিৰ্ম্মলসলিল শালিনী ঝিলে দুই তিনখানি তরণী ; আস্তাবলে দেইরূপ বহু অশ্ব ও শকটের সমাবেশ ; বাবুর্চিখানায় সেইরূপ স্থবেশধারী মুসলমান ও গুজরাটি ভূত্যগণের জটলা, এবং দেউড়িপ্রান্তে সশস্ত্র দ্বারবানের সেইরূপ সতর্ক পদসঞ্চার ;--সকলে মিলিয়া মেটাসাহেবের সেই অট্টালিকাটিকে সুরপুরীর ঐশ্বৰ্য্য-মাদকতায় ও বিলাসচাঞ্চল্যে পরিপূর্ণ করিয়া রাখিয়াছিল। একদিন অপরাহ্লে ছইজন পাৰি ভদ্রলোক এই অট্টালিকার অদুরন্থ রাজপথে ধীরে ধীরে পদচারণ করিতেছিলেন ; ইহারা পাঠকগণের