পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ © বসিয়া কি করা যায়, কাজেই একটা বোতল প্রায় সাবাড় করিয়৷ তুলিয়াছি, আর একটা বোতল আনাই ?” জেমসেটুজি মাথা নাড়িয়া বলিলেন, “না না, তাহার আর আবশ্বক নাই ; আমার শরীরটা আজ বড় ভাল নাই, আজ আর জলপথে যাত্রা করিব না।”—কিন্তু এ কথা থাকিল না, পাচ মিনিটের মধ্যে পতিতপাবনী বারুণী কাচময় আধার হইতে স্ফটিক পাত্রে অবতরণ করিলেন, এবং দেখিতে দেখিতে তিনি জেমসেটুজির উদর-গহবরে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। ক্রমে বোতলটি শূন্তগর্ভ হইল, গল্পও জমিয়৷ আসিল । জেমসেটুজি বলিলেন, “তোমার সঙ্গে দুই একটা খুব গোপনীয় কথা আছে, কিন্তু মদের আডডায় সে কথা হইতে পারে না।” বেজানজি বলিল,“এ ঘরটি তেমন নিরিবিলি নয় বটে, কিন্তু পাশের ঐ কুটুরিটিতে গিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দিলে,আর কোনও গোল নাই।” —বেজানজি চাকরকে ডাকিয়া কি ইঙ্গিত করিল, তাহার পর সে জেমসেটুজিকে সঙ্গে লইয়। সেই গুপ্ত কক্ষে প্রবেশ করিল। চাকরটা এক বোতল মদ ও দুইটী গ্ল্যাস সেই গুপ্ত কক্ষের টেবিলের উপর রাখিয়া বাহির হইতে দরজা বন্ধ করিয়া চলিয়া গেল । জেমসেটুজি বলিলেন, “তোমার মনিব লোক কেমন ?” বেজানজি বলিল, “সে কথা আর কেন জিজ্ঞাসা করেন ? এমন স্কুলুখ বদরাগী মনিব বাপের জন্মে কখনও দেখি নাই ; এক এক সময় চাকরী ছাড়িয়া দিতে ইচ্ছা হয় ।” জেমসেটুজি বলিলেন, "তুমি এরকম কথা কেন বলিতেছ, বুঝিতে