পাতা:নববোধ ব্যাকরণ.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২১০ ] ৪৯১ কঠোর (১) ও দীর্ঘ-সমাসযুক্ত পদ সমুদায়ের যে সঙ্ঘটন, তাহ হইতে ওজোগুণ প্রকটিত হয়। বীর, বীভৎস ও রৌদ্ররমে ঈদৃশী রচনা আবশ্যক । যথা— - “ মহীরুদ্রে রূপে মহাদেব সাঞ্জে | ভভস্তম ভভন্তুম, শিঙ্গ ঘোর বাঞ্জে । লটাপট জটাজট সংঘট গন্ধ। ছলচ্ছল টলটল কলঙ্কল তরঙ্গ ’ ॥ ছে যাজ্ঞসেনি ! ভীমপরাক্রম ভীমসেন স্বয়ং বক্তৃতুল্য গদ। প্রহারে দুৰ্ম্মতি দুর্য্যোধনের উৰুস্থল মিস্পিষ্ট করিয়া, তদীয় ক্ষত্তনির্গত রক্ত দ্বারা আপ্লুত হন্তে তোমার বেণীবন্ধ বিমোচন করিয়া দিবেন । ৪০ । যেগুণ নিবন্ধন শ্রবণমাত্র অবাধে ও পরিস্কার রূপে অর্থপ্রতীতি হয়, তাছাকে প্রসাদ বলে। প্রসাদগুণ সবর্ব প্রকার রসে ও রচনাতে প্রশস্ত । যখা, “ পার্থী সব করে রব রাতি পোছাইল, কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল । রখীল গৰুর পগল লয়ে যায় মাঠে, শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে ’ । ( ) উপরি উল্লিখিত ভিন্ন ধর্ণে গ্রথিত যে পদ, তাহ কঠোর ও ভুঞ্জে গুণের ব্যঞ্জক !