পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুরুক্ষেত্র । ১২৭৯ কটুলা ডাকিয় স্নেহে,—ভাইরে লক্ষ্মণ! আমাদের ক্রীড়াক্ষেত্র নহে এ প্রাঙ্গণ । পিতার দুলাল তুমি, আদরে পালিত মুখের শয্যায়, শত সম্ভোগের কোলে । যে অনল দ্রোণ, কর্ণ, কৃপ, অশ্বথামা, না পারি সহিতে গেল পলাইয়া ত্রাসে বারবার, তুমি ভাই ননীর পুতুল কেন ঝাপ দিলে সেই ঘৈার দাবানলে কেন তাত দুর্য্যোধন এইরূপে হায় ! করিছেন আত্মঘাতী ক্ষত্রিয় জগত ? বিপুল পৃথিবী,—মুদ্র ক্ষীণজীবী নর ; বিপুল কেীর ব-রাজ্য ; কৌরব পাণ্ডব জুই ভাই ; এ দুয়ের হয় না কি স্থান এ বিস্তীর্ণ পিতৃরাজ্যে দুদিনের তরে ? নাহি হয়, হবে ভাই তোমার জামার,তুমি ভানুমতী-পুত্র আমি সুভদ্রার । এক ক্ষুদ্র আস্তরণে, গলাগলি করি থাকিতে পরম স্বথে পারিব আমরা ; পারিব থাকিতে, স্বর্গে ইন্দ্রের মতন, মাত ভানুমতী-অঙ্কে, মাতা সুভদ্রার । যাও সেই স্বর্গে, যাও শিবিরে তোমার ! ‘ওরে দুরাচার ! এত আম্পৰ্দ্ধারে তোর ” গৰ্জ্জিয় লক্ষ্মণ ক্রোধে তেয়াগিলা শর। অনিচ্ছয়, অষতনে, কুমার তপন তেয়াগিল প্রতি, অস্ত্র । কাটি অৰ্দ্ধ পথে লক্ষ্মণের শর, খেলি অগ্নি প্রতিঘাতে