পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২৬ মহীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । দিতেছে। বৃদ্ধ রমণীর সাশ্রনয়নে পুত্রবৎ তাহার গায়ে হাত বুলাইয়া কত আশীৰ্ব্বাদ করিতেছে। সকলেরই কণ্ঠে ভানুমতীর প্রতি মা বা "দিদি সম্বোধন। তাহাঙ্কে রমণীরা বুকে ইয়। গগা জড়াইয়া কাদিতেছে । সকলে বলিতেছে-“তুই মা ! কোনও দেবকন্ত। শাপ কমে বেদের মেয়ে হইয়াছি ” অনাথনাথ ও ভানুমতী গলদশ্রনয়নে তাহদের নানা রূপে সত্ত্বনা দিয়া বজরায় উঠলেন। প্রজাগণ সমূদ্র কল্লোল প্লাবিত করিয়া, তাহার জয়জয়কার করতে লাগিল। চৈত্রমাস , পূর্ণ বসন্ত। বজরার শ্বেত প’ল দক্ষিণানিলে প্রসারিত হইল ; তরণী পক্ষ প্রসারিত রাজহংসীর ক্ষয় সমুদ্রের নীলগৰ্ভ বিদারিত করিয়া ছুটিল । পুণ্যতোয় শৈলজায়া কর্ণফুলী নদীর তীরে পাহাড়তলী গ্রামের পার্শ্বস্থিত একটি শৈলশেখরে অনাথনাথের অট্টালিকাখচিত ভদ্রাসন । নদীতীর হইতে গিরিশ্রেণীর স্তরে স্ত;ে বৃক্ষরাজিসজ্জিত শুমবপু উত্থিত হইয়াছে। তাহার সর্বোচ্চ শেখরে বৃক্ষপল্লবাস্তবালে অৰ্দ্ধনুকায়িত, অৰ্দ্ধপ্রকাশিত, মনোহর অট্টালিক । বিস্তীর্ণ কর্ণফুলীর —“পড়ি জল নীলে ধবল সৌধ ছবি, অনুকারিছে নভ অঞ্জন ও ” এক দিকে নদী। অন্ত দিকে গিরিপাদমূলে নাগেশ্বর-উপবনে সমাচ্ছন্ন একটি সমুন্নত প্রস্তরে বৌদ্ধদিগের মহামুনিয় মহাক্ষেত্ৰ । নাগেশ্বরের উপবন হষ্টতে ভগবান বুদ্ধদেবের চূড়া গগনে উত্থিত হইয় অপূৰ্ব্ব শোভার বিকাশ করিতেছে। অনথিনাথের অট্টালিকা হইতে এই শোভা অতুলনীয় । চৈত্র-সংক্রাস্তির দুই দিন পূৰ্ব্ব হইতে এখানে প্রস্ফুটিত নাগেশ্বরবনে পৰ্ব্বত ও সমতলবালী বৌদ্বদিগের একটি মেলা বসি থাকে। অনাখনাথ বাটা