পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st\ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । আমরা অপরাহ্লে নাসিকে পৌছি। যে পাণ্ডীর বাটীতে গিয়া উঠি, তিনি মহারাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ । তাহারা পাচ সহোদর। পাঁচটা স্ত্রীই ক্ষুন্দরী। আমি মাথা ধুইয়া উপরে যাইঙেছি, নীচে ক্ষুদ্র অগ্নিশিখার ন্যায় একটী বালিকা বসিয়া আছে। আমি তাহাকে ডাকিলে সে এক লদ্ধ দিয়া আমার বুকে উঠা পা দুখানি দিয়া আমার কোমর জড়াইয়া ধরিয়া আমার মুখের উপর মুখ রাখিয়া কি বলিতে লাগিল। বুঝিলাম একটি কথা দকৰীণা (দক্ষিণা)। তাহার নাম ভাণ্ড্য। বয়স ৬৭ বৎসর ; বিবাহ হইয়াছে তিন বৎসর । বালিকা দিনে শ্বশুরবাড়ীতে, রাত্রিতে পিতার বাড়ীতে থাকে। আর এ খানি ঈষৎস্যাম বদন পাশ্বের কক্ষ হইতে উ কি মারিতেছিল। ভগ্খকে তাহাকে ডাকিতে বলিলাম। সে হিহি করিয়া হাসিয়া, বীণার পঞ্চমে ডাকিল-“রুন্ধু ! ইক্রি আ ” রুকু আসিল । তাহার বয়স ৮ কি ৯ বৎসর হইবে । বড় মুনারী । তাহাকে আমার কাছে ডাকিয়' আনিলে সে কিঞ্চিং সলজ্জ ভাবে দাড়াইয়া, অমনি হাত ধাড়াইয়া সলিল –“দকর্ষীণ । অমনি তাহার শ্বাশুড়ী আসিতেrছ বলিয়ু ছুটিয়া গেল। আমি উপরে গেলে আবার ধাইয়া বলিল “দক্ষীণা”। ৰাইবার সময় দিব বলিলে বলিল, তাহার শ গুড়ী দেখিবে, সে আসিতে পরিবে না। তাঙ্গর পর হটাতে সিড়ির উপর বসিয়া কত গান গাড়িতে লাগিল। আমি কাছে গেলে ভগ্ন গুটি গলায় জড়াইয়ু ধরে, রুক্কু পালায়। সে এ বাড়ীর পুত্রবধু অতএ দেখিলে, ইহানের মধ্যে বালা-বিৰাং স্বেরূপ ভাবে প্রচলিত শুনিলে সমাজসংস্কারগণ মৃদ্ধ যাইবেন । কিন্তু যে পর্যন্ত স্ত্রী-সংস্কার না ইষ্টবে, সে পৰ্য্যৰ উহাদের সঙ্গে স্বামীর সাক্ষাৎ হয় না । ইগড়ে পাকান ব্যাপার আমাদের বঙ্গদেশের লোকে যেমন মোক্ষ মনে কবেন, ইহার সেরূপ মনে করে না। এই জন্তই বঙ্গদেশের রমণীর অকাল