পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । ৩২৫ সেই কৃতজ্ঞতা শেষে কোথা হ’লো লয় । একে প্রাণদাতা, তাহে পৃথিবী-ঈশ্বর, ততোধিক ভুজবলে ভুবন-বিজয়ী, এত প্রলোভন –সখি ! পড়িলাম আমি, অজগর-আকর্ষণে, সরল। হরিণী । "হেন কালে চারিদিকে সমর-অনল জলিল ; সিজার এই মিশরে বসিয়া দেখিল অনল-শিখা ! বৈশ্বানর রূপে ঝ পি দিল সখি ! সেই বহ্নির ভিতরে । নিবুইল কটাক্ষেতে শোণিত-প্রবাহে সে অনল বাহুবলে আপনি সমুদ্র রহিয়াছে বন্দী যার রাজ্যের ভিতরে, এই ক্ষুদ্র অগ্নিশিখা কি করিবে তারে ? বিজয়-পতাকা তুলি ; ভীম সিংহনাদে কাপায়ে ভূধর-শ্রেণী স্বদুর উত্তরে ; ভুবায়ে জলধি-মন্ত্র অদূর দক্ষিণে ; ছড়ায়ে গৌরব-ছটা দিগ দিগন্তরে ; ঢালিয়া আনন্দ-স্রোত অজস্র ধারায় রাজপথে ; প্রবেশিল বীর অহঙ্কারে, দীশ্বিজয়ী বীরবর রোম-রাজধানী । সতী সহধৰ্ম্মিণীর স্বপ্ন উপেক্ষিয় চলিল সেনেট-গৃহে-হায় । জাল-মুখে প্রলোভনে মুগ্ধ ক্ষিপ্ত কেশরী যেমতি, ক্ষুধাৰ্ত্ত !—“তোমরা কেহে ? তোমরা দুজনে ? (১ (১৫) ক্ৰটস এবং কেশিয়াস ।