পাতা:নব্য-ন্যায় (ব্যপ্তি-পঞ্চক) - রাজেন্দ্রনাথ ঘোষ.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थेभ वकe । 8S “সামান্যভাবে” থাকে না বুঝায় ; কোন “বিশেষ” বা নিদিষ্ট আধেয়তার অভাব বুঝায় না। যেমন, কোন গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যের সামান্তাভাব বলিলে সেই গৃহমধ্যস্থ কোন নিদিষ্ট মনুষ্যের অভাব, অথবা তত্ৰত্য মনুষ্য এবং মনুষ্যভিন্ন ঘট এই উভয়ের অভাব বুঝায় না, অথবা গৃহমধাস্থ” এই বিশেষণকে পরিত্যাগ করিয়া কেবল মানুষ্যের সামান্তাভাব বুঝায় না,পরস্তু সেই গৃহমধ্যস্থ কেবল মনুষ্যপদবাচ্য যাবৎ প্রাণীরই অভাব বুঝায়। ফলকথা, যাহার সামান্তাভাবে অভাব বলা হয়, তাহার নূন্য অর্থাৎ অল্প এবং তদ্ভিন্ন অর্থাৎ তদিতরের সহিত তাহাকে মিশাইয়া বুঝিলে চলিবে না, পরন্তু ঠিক ঠিক তাহাকেই গ্ৰহণ করিতে হইবে। সুতরাং, কোন কিছুর সামান্যাভােব বলিলে এই ছোট বড় দুইপ্ৰকার দোষশূন্য করিয়া তাহাকে গ্ৰহণ করা আবশ্যক। কারণ, এই দুই প্রকার দোষশূন্য না করিতে পারিলে যাহারই সামান্যাভাব। কথিত হইবে, তাহা ঠিক সামান্তাভাব হইবে না, তাহাতে লক্ষণবিশেষে অব্যাপ্তি বা অতিব্যাপ্তি দোষ ঘটিবে। তন্মধ্যে, এই বাপ্তির লক্ষণে অব্যাপ্তি দোষটীি, न्नडF বারণ না করিলে ঘটে, এৰং অতিবাপ্তি দোষটা, ইতর বা আধিক্যবারণ না করিলে ঘটে । এজন্য, সর্বত্ৰ সামান্যাভাবের দুইটী ভাগ ( ন্যায়ের ভাষায় দুইটী দল ) থাকে, একটীির নাম নুন-বারক এবং অপরটীর নাম অধিক বা ইতার-বারক। উক্ত “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্যের সামান্যাভাব” দৃষ্টাস্তে নূ্যনতাবারণ করিলে উহা “মানুষ্যের সামান্যাভাব” হইতে পরিবে না, এবং ইতািরবারণ করিলে “গৃহমধ্যস্থ কোন নিৰ্দিষ্ট মনুসা” অথবা “গৃহমধ্যস্থ মনুষ্য এবং ঘট এই উভয়ের অভাব” হইতে পরিবে না । এখন, এতদনুসারে লক্ষণোক্ত বৃত্তিতাসামান্তের অভাব বলিতে কেবল উক্ত যাবৎ বৃত্তিতারই ভাব বুঝিতে হইবে, উহার সহিত অপর কিছু মিশ্ৰিত করিয়া অথবা উহা হইতে কিছু বাদ দিয়া বুঝিলে চলিবে না-বুঝা গেল । টীকাকার মহাশয় এই বিষয়টা লক্ষ্য করিয়া বলিতেছেন যে “সাধ্যাভাবাধিকারণ-নিরূপিত আধেয়তার অভাব।” বলিতে যদি “সাধ্যাভাবাধিকারণ-নিরূপিত আধেয়তাসমান্তের অভাব।” না বলা যায়, তাহা হইলে প্ৰথমতঃ “সাধ্যাভাবাধিকরণ-“জলকুন্দ’-নিরূপিত আধেয়তার অভাব।” এই প্ৰকার একটী বিশেষাভাব ধরিয়া এবং তৎপরে “সাধ্যাভাবাধিকরণ-নিরূপিত আধেয়তা ও জলত্ব এতদুভয়াভাব।” এই প্ৰকার আর একটী বিশেষাভাব ধরিয়া লক্ষণাটীর মধ্যে অতিব্যাপ্তি-দোষ-প্রদর্শন করা যাইতে পরিবে ; যেহেতু ইহারা উভয়েই “সাধ্যাভাবাধিকারণ-নিরূপিত আধেয়তার অভাৰ” পদবাচ্য হইতে পারে।