পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব্য জাপান
৮১

ও হংকং হইয়া “প্যাসিফিক মেলে” জাপানে গমন করিতে পারা যায়।[১]

 জাপানীরা যে প্রণালী অবলম্বন করিয়া দৈহিক বলবীর্য্য বৃদ্ধি করে, তাহার নাম “জিউ জুৎসু”। জাপানিভাষায় ইহার অর্থ পেশী বিনষ্টকরা, কিন্তু ইহার দ্বারা পেশী সমূহের পুষ্টিসাধন হয়। অতি দুর্ব্বল ও ক্ষীণকায় ব্যক্তিও ইহার অনুশীলন করিয়া বিপুল বলশালী হইতে পারে। জাপানের সৈনিক ও নাবিকদিগকে এই বিদ্যা শিক্ষা করিতে হয়। ইহাতে সর্ব্বপ্রথমে আহারের প্রতি দৃষ্টি রাখিতে হয়, পরে ফুস্‌ফুস্ ও হৃৎপিণ্ডের উন্নতিসাধন করিতে হয়। শিক্ষার্থীদিগকে অস্থিবিদ্যা ও প্রাণীবিদ্যা আলােচনা করিতে হয় এবং যােগীর ন্যায় সংযত ও শুদ্ধাচারী হইয়া বাস করিতে হয়। চারি বৎসর বিশেষ ধৈর্য্য সহকারে শিক্ষা না করিলে, এই বিদ্যায় সিদ্ধ হওয়া যায় না।[২]

* * * *

 জাপানে “হারা-কিরি” অর্থাৎ আত্মহত্যা অত্যন্ত প্রবল। জাপানীরা অতি সামান্য কারণেই নিজের জীবন বিনষ্ট করিয়া


  1. জাপানযাত্রা, জাপানের ভাষাশিক্ষা ও তথাকার খরচপত্র সম্পর্কীয় বিবরণাদি মৎপ্রণীত “বঙ্গজাগরণ ও স্বদেশের নানাকথা” পুস্তকে প্রদত্ত হইয়াছে। আমার নিকটে পত্র লিখিলেও উত্তর দেওয়া যায়।
  2. পরম শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের বােলপুরস্থ “শান্তি নিকেতনে” উপযুক্ত শিক্ষক কর্ত্তৃক “জিউ যুৎসু” শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে। আজিকালি পৃথিবীর সর্ব্বত্রই এই বিদ্যার অনুশীলন হইতেছে।