পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব্য জাপান

প্রকার বৃক্ষ হইতে দুগ্ধের ন্যায় শ্বেতবর্ণ রস নিঃসৃত হয়। সুখাদ্য ফলের মধ্যে কমলা, লিচু, আঙ্গুর, কুল, চেরি, আখরােট, পেয়ারা, পিচ প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। বৃহৎ বৃক্ষের মধ্যে ওক, পাইন, দেবদারু, মেহগ্নি প্রভৃতি দৃষ্ট হয়। জাপানে নানাশ্রেণীর অতি মনোহর পুষ্প উৎপন্ন হইয়া থাকে। এখানে পশমের অভাব নাই। এখানকার তুতজাত রেশম সর্ব্বত্র প্রসিদ্ধ।

আকরিক।

 আকরিকের মধ্যে স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, টিন, পাথুরিয়া কয়লা প্রচুর পাওয়া যায়। লৌহ অধিক পাওয়া যায় না। লৌহের অনেক কার্য্য তাম্র দ্বারা সম্পন্ন হইয়া থাকে। এখানকার তাম্রের ন্যায় উৎকৃষ্ট তাম্র পৃথিবীর কুত্রাপি পাওয়া যায় না। জাপানীরা ইহা এক ইঞ্চ মােটা ও এক ফুট লম্বা পাত করিয়া বিক্রয় করে। অপকৃষ্ট তাম্র ইষ্টকাকারে বিক্রীত হয়। জাপানে তামার খনিতে সময়ে সময়ে স্বর্ণ পাওয়া যায়। সম্রাটের অনুমতি ব্যতীত কেহই স্বর্ণখনির কার্য্য করিতে পারে না। এখানকার টিন রৌপ্যের ন্যায় শুভ্র ও উজ্জ্বল। জাপানের নানাস্থানে একরূপ মৃত্তিকা পাওয়া যায়, তাহা হইতে মনােহর বাসন প্রস্তুত হয়। চীনাবাসন বলিয়া ইহা পৃথিবীর নানাদেশে বিক্রয় হইয়া থাকে।

জীবজন্তু।

 জাপানে অশ্ব, মহিষ, গবাদি গ্রাম্য জন্তু দৃষ্ট হয়। এখানকার অশ্ব সকল বলিষ্ঠ, কিন্তু বৃহৎ নহে। মৃত্তিকাকর্ষণ ও শকটচালন জন্য গরু ও মহিষ ব্যবহৃত হয়। ছাগ, মেষ, হরিণ, শূকর, ভল্লুক প্রভৃতি নানাস্থানে দেখা যায়। জাপানে পক্ষী অতি বিরল, এই