পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
নব্য জাপান

করিয়াছেন। আমরা পূর্ব্বেই বলিয়াছি, জাপানী ভাষায় নিপন শব্দের অর্থ সূর্য্যোদয়ের স্থান। আমাদের বৈবস্বত মনুর ন্যায়, জাপান রাজবংশের আদি পুরুষ সিণ্টো, সূর্য্য হইতে উৎপন্ন। জাপান রাজবংশধরেরা আপনাদিগকে অদ্যাপিও সূর্য্যবংশীয় বলিয়া অভিহিত করিয়া থাকেন।

 অনেকে অনুমান করেন; যে সভ্যতারাগে জাজ্জ্বল্যমান হইয়া জাপান আজি উষার সুকুমার অরুণ প্রভার ন্যায় উত্তরােত্তর উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছে, সে সভ্যতা জাপানবাসিরা পাশ্চাত্য জাতির নিকট হইতে প্রাপ্ত হইয়াছে। এ অনুমান প্রকৃত নহে। পাশ্চাত্য সভ্যতার অভ্যঙ্গনে জাপানের বর-বপু কিঞ্চিন্মাত্রায় মসৃণ হইয়াছে সত্য, কিন্তু উহার জাতিকলেবর গঠনে যে ভারতবর্ষই মন্ত্রগুরু অদ্যাপিও তাহার দৃঢ় নিদর্শন বিদ্যমান আছে। এই বিবরণ আমরা ক্রমান্বয়ে লিপিবদ্ধ করিতে যত্ন করিব।

 জাপান দ্বীপের উৎপত্তি ও তথায় লােকের বসতি সম্বন্ধে অনেক অপূর্ব্ব উপাখ্যান প্রচলিত আছে। তাহার অধিকাংশই ভারতীয় পৌরাণিক আখ্যায়িকার ন্যায় অপূর্ব্ব রহস্যে বিজড়িত। জাপানীদিগের বিশ্বাস, অতি প্রাচীনকালে এই দ্বীপে দেবতারা রাজত্ব করিতেন। বহুযুগ পরে সেই দেববংশে মানব ও দেবধর্ম্মবিশিষ্ট এক সম্প্রদায় মনুষ্যের জন্ম হয়। ইহার বহুবর্ষ পরে তাঁহাদের সন্তানসন্ততি হইতে বর্ত্তমান জাপানিগণের উৎপত্তি হইয়াছে।

 ইয়ুরােপীয় পণ্ডিতগণের অনুমান যে, চীন হইতে জাপানীদিগের উৎপত্তি হইয়াছে। কিন্তু উভয় জাতির ধর্ম্ম ও ভাষার