পাতা:নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস - উমাকান্ত হাজারী.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২২
নব্য জাপান

যায় যে, চীন দেশীয় ধর্ম্মপ্রচারকগণ সপ্তম শতাব্দ হইতে দশম শতাব্দ পর্য্যন্ত জাপানবাসিগণের নিকট বৌদ্ধধর্ম্ম ও বৌদ্ধনীতির মহিমা কীর্ত্তন করিয়াছিলেন।

 সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে সাম্রাজ্ঞী সু-ইকো জাপানের সিংহাসনে অধিষ্ঠিতা ছিলেন। তিনিই এ দেশের প্রথম স্ত্রী-শাসনকর্ত্রী। বৌদ্ধধর্ম্মে তাঁহার অচলাভক্তি ও দৃঢ় বিশ্বাস থাকায় এই সময় হইতে জাপানে বৌদ্ধধর্ম্ম বদ্ধমূল হয়। এই শতাব্দীতে সপ্তজন সম্রাট ও পঞ্চজন সাম্রাজ্ঞী জাপানে রাজত্ব করেন। ভারতের বৌদ্ধধর্ম্ম ইতিহাসে প্রিয়দর্শী অশোকের ন্যায়, সাম্রাজ্ঞী কৈমিও ও সাম্রাজ্ঞী কো-কেন জাপানে সমধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেন। কৈমিও রাজ্যের নানাস্থানে বৌদ্ধ মন্দির নির্ম্মাণ করিয়া, প্রত্যেক মন্দিরে ভগবান শাক্যমুণির মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁহার সময়ে রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে পান্থ-নিবাস, অনাথ-আশ্রম ও চিকিৎসালয় স্থাপিত হয়। এই সকল কার্য্যের জন্য তিনি ব্যয় স্বীকারে অণুমাত্র কুণ্ঠানুভব করিতেন না।

 নবম শতাব্দীর মধ্য হইতে একাদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত জাপানের সর্বত্র ফুজিয়ারা বংশের বিশেষ প্রতিপত্তি হয়। জাপানী ঐতিহাসিকেরা এই সময়কে “ফুজিয়ারা সময়” বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। এই সময়ে ফুজিয়ারা বংশীয় কতিপয় সম্রাট ও সাম্রাজ্ঞীর যত্নে জাপানে বৌদ্ধধর্ম্মের অসাধারণ উন্নতি সাধিত হইয়াছিল।

 খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর পর হইতে মিকাডোর ক্ষমতা হ্রাস হইয়া জাপানে তৈরা ও মাইনামটো নামক দুইটি সম্ভ্রান্ত