জাপানে রমণীগণের নাম রাখায় একটু বিশেষত্ব আছে। প্রায়ই নামের পূর্ব্বে ‘ও’ এবং পরে ‘সান’ শব্দ ব্যবহৃত হয়। যাঁহার নাম তারা, তাঁহাকে সম্বোধন করিবার সময়ে “ও তারা সান” অর্থাৎ হে তারাসুন্দরী বলিয়া সম্বােধন করাই জাপানী সভ্যতা। “সান” শব্দ পুরুষের নামের পরে ব্যবহৃত হইলে মহাশয় অর্থ বুঝায়।
“কাইমনো” জাপানবাসী পুরুষ ও রমণীগণের জাতীয় পরিচ্ছদ। ইহা দেখিতে অনেকাংশে বিলাতী অলষ্টার বা এদেশীয় আলখেল্লার অনুরূপ। কাইমনো স্কন্ধদেশ হইতে পাদমূল পর্যন্ত লম্বিত, ইহার ভিতরভাগ অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পকেটে পরিপূর্ণ। “ওবি” নামক নাতিপ্রসস্ত ৭।৮ হস্ত দীর্ঘ বস্ত্রখণ্ড দ্বারা কটিবন্ধের কার্য্য হইয়া থাকে। কাইমনো ও ওবি সাধারণতঃ কার্পাস সূত্রে নির্ম্মিত হয়। অবস্থাবানেরা রেশম নির্ম্মিত পরিচ্ছদাদি ব্যবহার করিয়া থাকেন। জাপানে অলঙ্কার পরিধানের প্রথা দেখিতে পাওয়া যায় না।
জাপানের বালক বালিকারা বাল্যকাল হইতে পিতা, মাতা, জ্যেষ্ঠভ্রাতা প্রভৃতি গুরুজনের আদেশ প্রতিপালনে অভ্যস্থ হয়। ইহার ফলে জাপানিগণের পারিবারিক জীবনে কোন অশান্তি পরিলক্ষিত হয় না। জাপানী বালিকারা শৈশব হইতেই রন্ধন, গৃহমার্জ্জন, শয্যারচন, নিমন্ত্রিতগণের ভােজ্যাহরণ প্রভৃতি আবশ্যকীয় গৃহকার্য্য সমূহ অতি যত্নপূর্ব্বক সম্পন্ন করিয়া থাকে। জাপান কুমারী অতি অল্প বয়স হইতেই পতিব্রত্যধর্ম্মের শিক্ষা পাইয়া থাকে। ঘুড়িউড়ান, নদীরজলে কাগজের নৌকাচালান,