অন্ন, মৎস্য ও শাকসব্জি জাপানিদিগের প্রধান খাদ্য। অতি সন্ত্রান্ত ব্যক্তি হইতে দীন পর্য্যন্ত সকলেই ভাত, মাছ, শাক আহার করিয়া থাকে। নিম্নে কয়টী উৎকৃষ্ট জাপানি ব্যঞ্জনের নাম লিখিত হইল।
জাপানী নাম | বঙ্গীয় নাম | জাপানী নাম | বঙ্গীয় নাম |
---|---|---|---|
মিয়া | সিম সুক্ত | মাছিটোরি | শাকের ঘণ্ট |
লুইমনো | মাছের ঝোল | উমেনী | শাক, মাছ ও লেবুর রস সহযোগে অম্ল |
নিজাকানা | আলু ও মাছের কালিয়া | সুকিমনো | আচার |
টেরায়াকি | মাছের চড়চড়ি | গােসেন | পায়ষ |
সাসিমা | চিংড়িমাছ ভাজা | সিওয়াকি | মাছের কাবাব |
মধ্যশ্রেণীর পরিবারে ভাত, চিংড়িসিদ্ধ, কাঁকড়ার কাবাব, কেবাকী (বাইন) ও জেটাচাকা (চাঁদা) মৎস্যের অম্ল নিত্যই রন্ধন হইয়া থাকে। নিম্নশ্রেণীর জাপানীরা অন্ন অপেক্ষা মৎস্য অধিক পরিমাণে ভোজন করিয়া থাকে।
জাপানীরা পৃথিবীর অন্যান্য জাতির ন্যায় উচ্চাসনে উপবেশন করিয়া ভােজন করে না। তাহারা বঙ্গবাসীর ন্যায় পিঁড়ি ও পত্রের উপর উপবিষ্ট হইয়া হস্তসাহায্যে ভোজন করিয়া থাকে।
জাপানে শূকর ও গো-মাংস ভক্ষণ চলিত নাই। এখানে কেহই গাে হত্যা করিতে পারে না। খৃষ্টধর্ম্মাবলম্বী ও ইয়ুরােপ প্রত্যাগতদিগের মধ্যে কেহ কেহ বিদেশাগত শুষ্ক গো-মাংস ও টেবিনেব (মুরগী) ভক্ষণ করিয়া থাকেন। জাপানিরা পরমান্ন ও পিষ্ঠকাদি ব্যতীত কেবলমাত্র দুগ্ধপান করে না। তরকারী বিশেষে দুগ্ধ, ঘৃত, নবনীত, তৈল ও চর্ব্বি ব্যবহৃত হইয়া থাকে।