পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব্য সায়নী বিদ্যা মধ্যে যারা তড়িৎস্ফুলিঙ্গ প্রয়ােগ করিলে ভীষণ আওয়াজ সহ গোলকপূর্ণ মিশ্র বায় রাসায়নিক ক্রিয়া সংঘটিত হইবে। আরও দেখা যাইবে যে গােলকের নির্মল ও গাত্রে শিশির বিন্দুবৎ জলীয় পদার্থ আবির্ভূত হইয়াছে। তখন খ ও গ ছিপি দুইটি খুলিয়া দিলে গোলকটী পুনর্বার উক্ত মিশ্র বায়ুপূর্ণ হইবে। আবার খ ছিপিটা বদ্ধ করিয়া তড়িৎ সংযােগ করিলে পূৰ্ব্ববৎ বৈদ্যুতিক শিখা সই রাসায়নিক ক্রিয়া হইবে। এই রূপে বারম্বার এই প্রক্রিয়। সাধিত হইলেই দেখা যাইবে যে প্রতিবারেই গােলকের ভিতর মিশ্র ২য়র মধ্যে রাসায়নিক সংযােগ হইতেছে এবং শেষে স্পষ্ট জল বিন্দু প্রকাশ হইবে । মিশ্র বায়ুর মধ্যে রাসায়নিক ক্রিয়া হইয়া উহাদের বায়বীয়ত্ব লুপ্ত না হইলে অর্থাৎ গােলকের মধ্যে বায়ুর অভাব না হইলে দ্বিতীয় বারে মিশ্র বায়, আপনা হইতে কখনও গােলকের ভিতর প্রবেশ করিতে পারিত না। উপরােক্ত পরীক্ষা দ্বারা কাবেণ্ডিস প্রতিপন্ন করিলেন যে বিশুদ্ধ দাহবায়ু ও অম্লজানের রাসায়নিক সংযােগে যে পদার্থ উৎপন্ন হয় তাহা আর কিছু নয় কেবল বিশুদ্ধ জল। এই আবিষ্কার নব্য রসা- মুন শাস্ত্রের উৎপত্তির একটা প্রধান কারণ। ২৫০০ বৎসর ধরিয়া গ্রীক ও হিন্দু, দার্শনিকগণ যে মত অপ্রতিহত ভাবে প্রচার করিয়া আসিতেছিলেন তাহা এত দিনে বিধ্বস্ত হইল; উহা অসার ও অমূলক বলিয়া প্রতিপন্ন হইল। সুতরাং জল যে মৌলিক পদার্থ নয় বরং যৌগিক পদার্থ সে বিষয়ে আর কাহারও সন্দেহ ছিল না। দুই ভাগ আয়তনের দাহ্য বায়ু ও এক ভাগ আয়তনের অম্লজান এই দুইটা অদৃশ্য বায়ুর সংযােগে জলের উৎপত্তি তাহা বিশেষরূপে সপ্রমাণ হইল। দুই বা ততােধিক মৌলিক পদার্থের সংযােগে কৃত্রিম উপায়ে এবং