পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৭
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৩৭

নব্য সানী বিদ্য। মারা যাইবে ? না। সমুদ্র জল হইতে “মিষ্টি” জল প্রস্তুত করিবার সুন্দর প্রণালী আছে। এবার ছাকিয়া লইলে চলিবে না। প্রক্রিয়ার নাম “ তিক পাতন,” চলিত ভাষায় ইহাকে “চোলাই” করা কহে। অগ্নির উত্তাপে ময়লা জল প্রথমতঃ বাম্পাকারে পরি- পত হয়। পরে শীতল পাত্রের সংস্পর্শে ঐ জলীয় বাষ্প পুনৰ্ব্বার তরল হইয়া দ্বিতীয় পত্রে জলরূপে সংগৃহীত হয় বা জমিতে থাকে। এই জল বিশুদ্ধ। প্রথম পাত্রস্থিত অপরিষ্কার জলে দ্রবীভূত লবণ ও অন্যান্য ধাতব পদার্থ উক্ত পাত্রেই পড়িয়া থাকে। প্রথম পাত্রে বা একটী কলসীতে ময়লা জল রাখিয়া উহার মুখে একখানি সরা ঢাকিয়া দেন। ঐ সরার মধ্যে একটা ছিদ্র করিয়া উহার সহিত একটী লখা বাঁশের বা রাংএর নল যােগ করিয়া দেন। কলসী ও সরার সন্ধি স্থলে ভালরূপ মাটীর প্রলেপ দেওয়া আবশ্যক। যেন জলীয় বাষ্প কোনরূপে সার পাশ দিয়া বাহির হইতে না পারে। তার পর প্রথম কলসীর নীচে উত্তাপ দিলে ময়লা জল উত্তপ্ত হইয়া বাষ্পে পরিণত হইবে এবং নলের ভিতর দিয়া চলিয়া যাইবে। বাহিরের গাত্রে ভিজা নেকড়া দিয়া সর্বদা শীতল রাখিতে হইবে। তাহা হইলে ঐ বাষ্প পুনরায় ঘনীভূত হইয়া বিদ্ধ জল উৎপন্ন হইবে। এবং দ্বিতীয় কলসীতে বা বােতলে ঐ বিশুদ্ধ জল জমিতে থাকিবে। ৩৬ পৃঃ প্রতিকৃতি দ্রষ্টব্য। গলের বিশুদ্ধকরণ সম্বন্ধে মােটামুটি এই তিন প্রকার প্রণালী বা প্রক্রিয়া দেখান গেল কিন্তু গন্ধক কপূর প্রভৃতি পদার্থের সহিত ময়লা মাটী মিশ্রিত থাকিলে কি প্রকারে তাহাদিগকে বিশুদ্ধ করিবেন ? এ সকল বা জলে দ্রবীভূত হয় না, সুতরাং পূর্বোক্ত প্রণালী অবলম্বন করা যাইতে পারে না। একখান সরার মধ্যে দ্রব্য স্থাপন করুন এবং