পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৪
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৫৪

নব্য ৰসায়নী বিদ্যা dion) ও শ্বাসগ্রহণ (respiration) বলে, তাহাতে বায়ুর উপকরণ অম্লজানেরই (oxygen) কাজ বেশী, এবং সেই সময়ে কাবেণ্ডিস প্রমাণ করিলেন যে, জল মৌলিক পদার্থ নয়—উদজান ও অম্লজান নামক দুই বিভিন্ন বায়ুর (gas বায়ু) রাসায়নিক সংযােগে এই যৌগিক (compound) পদার্থ উৎপন্ন, তখন এক মহা আন্দোলন উপস্থিত হইল। এই সময়কার দুই সহস্র বৎসর পূৰ্ব্বে হিন্দু ও গ্রীক পণ্ডিতগণ সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন যে, ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম, এই পঞ্চভূত সমবায়ে যাবতীয় পদার্থের সৃষ্টি হিন্দুগণ মৃত্যুকে যে পঞ্চত্ব প্রাপ্তি বলেন ইহার মূলে এই সিদ্ধান্ত রহিয়াছে ; অর্থাৎ মানুষ যখন মরে, তখন তাহার শরীরের উপাদানগুলি ? পঞ্চভূতে মিশিয়া যায়। কিন্তু যখন কাবেণ্ডিস দেখাইনে যে “অপ” (জল একটা ভূত বটে কিন্তু মৌলিক পদার্থ নয়, তখন বৈজ্ঞানিক জগতে এক মহা- হুলুস্থুল পড়িয়া গেল। দিন দিন নূতন নূতন বায়ুর (gas) আবিষ্কার হইতে লাগিল—যথা যবক্ষারজান, ক্লোরিন ইত্যাদি। পূৰ্ব্ব “ক্ষেপালােকের কথা বলিয়াছি। ডাক্তার বেডােজ ( Beddocs) এই শ্রেণীভুক্ত। তাহার এক খেয়াল হইল-যেমন উদ্ভিজ্জ ও খনিজ নানাবিধ কঠিন ও তরল ঔষধ প্রয়োেগ দ্বারা রোগের আরােগ্য হয়, তেমনি এই সকল নব-আবিষ্কৃত বায়ু সেবন করতে পারিলেও তদ্রুপ ফললাভ হইতে পারে। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হইয়া (1neumatic Institution) অর্থাৎ বায়বীয় হাসপাতাল স্থাপন করিলেন। অনেক রোগীও এই হুজুগে পড়িয়া এখানে উপস্থিত হইতে লাগিল। রাসায়নিক পরীক্ষাকাৰ্য্যে দক্ষতার জন্য ডেী ইতিমধ্যে প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন। তাহাকেই এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হইল। কিছুকাল পূর্বে ষবৃক্ষরজান (nitrogen) অনুজান-সংযােগে 270 ( nitrous