পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর-পুঞ্জ ৩২১ লোকেরা বলাবলি করবে—“এই চেহারা, এই মূৰ্ত্তি আগে ত কখনও দেখি নি। অমুক চিত্তবৃত্তির সঙ্গে অমুক চিত্তবৃত্তির যোগাযোগ পূৰ্ব্বে কখনো নজরে পড়ে নি।” এই ভাবে ডজন ডজন চরিত্র স্বষ্টি ক'রে ক্ষীরোদপ্রসাদ অমরত্ব লাভ করেছেন। বাংলা দেশে পঞ্চাশ-ষাট বৎসরের ভিতর যে সমস্ত লোক, মানুষের মতন মানুষ,—“বাপক| বেটা” জন্মেছেন – তারা সকলেই বলেছেন যে, “যে দুনিয়া দেখছি এ দুনিয়া কিছু নয়। এই যে বাংলার নরনারী দেখতে পাচ্ছি তাও কিছু নয় বাংলা দেশ এমন হওয়৷ সম্ভব যা এখন নাই। য। নাই তাই ঠিক, যা আছে তা ঠিক নয়। এই হিসাবে এমন কতকগুলি লোক স্বষ্টি করা দরকার যারা বাংলা দেশকে, বাঙ্গালী জাতিকে অভিনব রূপে গড়ে তুলবে।" এই মাপকাঠিতে আশুতোষ মানুষের মতন মানুষ,—“বাপক। বেটা"। র্তার বুকের পাটার ভিতর যে ভাবুকতাময় বিশাল প্রাণ ছিল তাতে দুনিয়া ভাঙন গড়নের ওস্তাদি দেখতে পাই। কৰ্ম্মবীর চিত্তরঞ্জনও আর একজন “বাপকা বেটা” । দেশের ভিতর নতুন প্রাণের গড়ন দেখাতে দেখাতে তার প্রাণ গিয়েছে। ঠিক সেই হিসাবেই, সেই মাপকাঠিতেই বলছি যে,—“বাপক বেটা” ক্ষীরোদপ্রসাদের কাব্য-শিল্প একটা নতুন তাজ দুনিয়া স্বষ্টি ক’রে গিয়েছে আর সেই শিল্প-দুনিয়ার লোকগুলি যেন রক্তমাংসেরই জ্যান্ত নরনারী,– ঠিক যেমন জ্যান্ত নরনারী আমাদের বৈচিত্র্য-পূর্ণ, বিভিন্নতাময় যুবক ভারত । वि-२>