পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন গচ্ছিত টাকা ৫,০০,• • • এবং তাহার উপর, তাহাদের নগদ ফাজিল হইয়াছিল শতকরা ২১ ভাগ এবং যাহাদের মূলধন কম, তাহাদের হইয়াছিল শতকরা ২০ ভাগ । ভারতের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলাকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। ‘ক’-শ্রেণী—যাহাদের পাঁচ লক্ষ ও তদৃদ্ধ টাকা মূলধন । ‘খ’-শ্রেণী— যাহাদের মূলধন এক লক্ষের উপর এবং পাচ লক্ষের কম। ১৯১৫-১৬ সনে ‘ক’-শ্রেণীর ব্যাঙ্ক মাত্র দুইটি ছিল, ১৯২৪-২৫ সনে হইয়াছে ৮টি। জমা এবং ঋণদান ১৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা হইতে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৰ্য্যন্ত বাড়িয়াছে। ‘খ’-শ্রেণীর ১৯১৫-১৬ সনে ছিল ১৮টি, ১৯২৪-২৫ সনে হইয়াছে ৯০টি । ১৯২৪-২৫ সনে মূলধন ও গচ্ছিত টাকা হইয়াছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা এবং জমা ও ঋণদান ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা । রকমারি ব্যাঙ্ক-ব্যবসা ভারতীয় ব্যাঙ্কের টাকাকড়ির ওজন বড় ভারী কিছু নয় বুঝাই যাইতেছে। তবে ব্যাঙ্ক-ব্যবসার দিকে বাঙালী জাতির নজর যে গিয়াছে সেই বিষয়ে সন্দেহ নাই। ব্যাঙ্কে টাকা গচ্ছিত রাখা, কারবারে ব্যাঙ্কের টাকা খাটানো ইত্যাদি কাজের স্বভাব বাঙালী সমাজে যে ক্রমে ক্রমে বাড়িতেছে তাহাও সকলেই বুঝিতে পারিতেছেন। তবে খাটি ব্যাঙ্কের ব্যবসা যত প্রকারের হইতে পারে তাহার অনেক কিছুই এখনো আমাদের রপ্ত হয় নাই । ব্যাঙ্ক-ব্যবসার আসল কারবারটা কি বা কি কি ? মোটের উপর ১৫১৬ প্রকার । কারবারগুলা নিম্নরূপ —(১) সোনা-রূপার বেচা-কেনা, (২) টাকাকড়ি ভাঙ্গানো বা পোদারি (৩) লোকের টাকাকড়ি জমা রাখা,