ব্যাঙ্ক গঠন ও দেশোন্নতি ඵI ফ্লোরেন্স ইতালির আর একটা বড় সহর। এইটি আর আমাদের কাশী ঠিক যেন এক ছাচে ঢালা । আপনারা সকলেই ছেবনিসের নাম শুনিয়াছেন। হেবনিসের মত রম্য সহর আর নাই—এইতো আপনাদের ধারণা। কি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশু, কি মনোরম রেণের্সাসের ছঁাচে গড়া ঘরবাড়ী—যেন ছবি । থালের ধারের এক একটা প্রাসাদ যেন এক একটা তাজমহল । কিন্তু এ সব বাড়ীগুলির অবস্থা কিরূপ শুনিবেন ? ঐ হুগলীর ধার দিয়া গঙ্গার ঘাটে কতকগুলি বাড়ী আছে না—যাহা আমাদের ঠাকুরদাদারা করিয়া গিয়াছে ? চুন-গুরকী খসিয়া পড়িতেছে, নাতিরা আর তাহার জীর্ণসংস্কার করিতে বা তাহার চাইতে বেশী কিছু করিতে পারে নাই। হেবনিসের এই সব বাড়ী যেন এক একটা প্রত্নতত্ত্বের গবেষণাগার । অর্থাং কবরের মুলুক ! এখানে তাজা প্রাণবান মাল বিরল। টুরিষ্টদের বরাদ এখানে আড়াই রাত ! একবার ইতালির কোনো এক সহরে এক জমীদার ভদ্রলোকের অতিথি হইয়াছিলাম। আমি তাহাকে বলিলাম, "আমার কিছু টাকার প্রয়োজন। আমার একখান চেক আছে, তুমি এইটা রাখিয়া তোমার কিছু লিয়ার দাও ।” এই ভদ্রলোকটি আবার একজন খ্যাতনামা অস্ত্র-চিকিৎসক { চার চারটা ভাষা তাহর দখলে—জাৰ্ম্মাণ, ইতালিয়ান, ফরাসী, ইংরেজী । নিজে আবার অধ্যাপক ও বটে। ইহা ছাড়া আরও যতরকম গুণাবলী থাকা দরকার, তাহা ইহার আছে । তিনি চেকখানা দেখিলেন। সেটা সুইটুসারল্যাণ্ডের এক ব্যাঙ্কের, আর জাৰ্ম্মাণ ভাষায় লেখা । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমাকে কি করিতে হইবে ?” আমি বলিলাম “আমাকে লিয়ার দাও । মাত্র আমার ৭৫২ টঙ্কা দরকার।” লোকটি আবার আমার বন্ধু—এমি ধারে চাহিলেও পাইতাম, কিন্তু মনে করিলাম