পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন سياسي ছাড়া ১৮৭০-১৯০৫ এই সময়ের মধ্যে কেউ ব্যাঙ্ককে টাকা ধার দিত না । কোনো ব্যাঙ্ক এই যুগে চেক চালাইতে সাহসী হয় নাই । এই জাৰ্ম্মাণি আজ দুনিয়ার এক সেবা দেশ। কিন্তু ইহার এই ৩৫ বছরের জীবনের সাথে তুলনায় বাঙালী-জীবনে কোনো তফাৎ দেখা যায় কি ? কিছুষ্ট না । “অর্থমনৰ্থং” খ্ৰীষ্টীয় সাহিত্যেও যথেষ্ট রহিয়াছে। জাৰ্ম্মাণ সমাজেও আজ পয্যন্ত ব্যবসা করা একটা হীন কাজ। জুতা মেরামত করা একটা বড়-কিছু বিবেচিত হয় না। যাহারা ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাহদের সঙ্গে জাৰ্ম্মাণির কুলীনরা সামাজিক বন্ধন রাখেন না – বিবাহাদি দেন না । বিলাতী সমাজেও এমনিতর ধারণা কিছু-কিছু আছে। তবে সৰ্ব্বত্রই কিছু-কিছু সমাজ-সংস্কার” এখন দেখা যাইতেছে। এই পয়ত্রিশ বছরের ঘটনা ভাবিয়া দেখিতে গেলে কি দেখা যায়? এই পয়ত্রিশ বছরে যেমন “খোকা হাটে পা পা” ঠিক তেমি আস্তে আস্তে পী ফেলিয়া ফেলিয়া জাৰ্ম্মাণ জাতটা অগ্রসর হইয়াছে। একদিনেই ইহাদের এই বর্তমান বিপুল কারবার, ব্যাঙ্ক-সঙ্ঘ ফুলিয়া উঠে নাই। যদি জাৰ্ম্মাণির অবস্থা বছর পঞ্চাশেক আগে প্রায় আজকালকার বাঙালীর মতনই হইতে পারে, তাহা হইলে প্রাচ্যে প্রতীচ্যে প্রভেদটা কোথায় ? এই বিগত পঞ্চাশ বছরের পেছনে তাকাইলে দেখিতে পাই, ইয়োরোপেও এমন যুগ গিয়াছে, যে যুগে দুৰ্ব্বলতা, অক্ষমতা উহাদেরও মজ্জাগত ছিল। যাক, আর প্রাচ্য-প্রতীচ্যের মামলায় সময় কাটাইতে চাহি না । এখন দেখিতে হইবে, কেমন করিয়া আমাদের জাতটা ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলায় কৰ্ম্মদক্ষ হইতে পারে । জাৰ্ম্মাণি এই পঞ্চাশ বছরে বিপুল বিপুল ব্যাঙ্ক গড়িয়া তুলিয়াছে বলিয়া আমরাও পারিব না কেন—তাহ। লইয়া মাথা গরম করিবার দরকার নাই। আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে