পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কতকগুলি বস্তু আবিষ্কার করা আর তাহার সাহায্যে মাথার ভিতরকার বী ও সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়টা পাকড়াও করিবার কৌশল উদ্ভাবন করা। এই হইতেছে আমার একমাত্র আলোচনার বিষয় । অতীতই হউক আর বর্তমানই হউক, এই ঘী মাপামাপির কারবারে লক্ষ্য আমার নির্দিষ্ট । কি তত্ত্ব-হিসাবে, কি আলোচনা-প্রণালী-হিসাবে, সকল হিসাবেই আমার একমাত্র ধ্যেয়—ভারতবর্ষ। বৰ্ত্তমান জগতের নানা স্তর ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে কথা বলিতে গিয়া বর্তমান যুগটাকে আমি চার ভাগে ভাগ করিয়াছি –(১) ১৮৪৮-৭৫ খৃঃ ; (২) ১৮৭৫-১৮৯৫ খৃঃ ; (৩) ১৮৯৫১৯১৫ খৃঃ পূঃ ৩) ১৯০৫-২৫ খৃঃ দেখিতে হইবে আমরা এখন ইহার কোন জায়গায় আছি। আপনারা বলিবেন “আমরা পূৰ্ব্বের লোক । আমাদের ল্যাটিচিউড অত, আমাদের লঙ্গিচিউড অত” ইত্যাদি। আমি বলিতেছি আমরা পূর্বেরও নই, পশ্চিমেরও নই। আমরা আছি কোন একটা বিশ্বব্যাপী সিড়ির নির্দিষ্ট ধাপে । আমরা ছুটয়া চলিয়াছি, জগতের লোকও ক্রমাগত ছুটয়া চলিয়াছে। চলিতে চলিতে দেখি, কেহ সিড়ির ৪র্থ ধাপে, কেহ ৩য় ধাপে আসিয়া পৌঁছিয়াছে। আমরা যেখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছি সেটা ১৯২৫৷২৬ সালের ধাপ নয়, এমন কি ১৮৭০ সালের থাপও কি না সন্দেহ আছে । বোধ হয় কোন কোন দফায় আমরা ১৮৪৮ সনের ধাপেই আছি । কড়াক্রান্তিতে হিসাব করিয়া দেখিলে মনে হইবে যে, হয়ত আমরা ১৮৭০ সনের আগে কি পরে, ডাইনে কি বয়ে কোন একটা জায়গায় অসিয়া দাড়াইয়াছি। এই হইল ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে আমার কথা । ব্যাধি, বাৰ্দ্ধক্য ও দৈব বীমা ( বীমা—বোমা নয় ) এই তিনটি সম্বন্ধে আলোচনা করিলেও আমরা বেশ জানিতে পারিব আমরা ঠিক কোথায়