পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8も নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন চড়িবে না, হয়ত চড়িবে একবেলা ! দুবেলা আঁচানো, তাহার কপালে লেখা নাই । তাহার রোজগার করিবার ক্ষমতা আছে, কিন্তু সে রোজগার করিবে না । ম্যালেরিয়ায় ভুগিতেছে তবু সে কাজ করিতেছে ইত্যাদি ইত্যাদি ধারণা আমাদের আছে এবং ছিল । এই কয় বৎসরের খবর যাহারা রাখেন তাহারা জানেন যে, বাংলায় হাজার হাজার না হউক অন্ততঃ শত শত লোক ছিল, যাহারা বাস্তবিকই এক, দুই বা আড়াই বৎসর ঐরূপভাবে চলিয়াছে। চিরকাল চলিয়াছে তাহা বলি না। জাপানের স্বদেশ-সেবক রাষ্ট্র তারপর জাপানে গেলাম। তার আগে বিলাতে গিয়াছি । ইংরেজদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখাশুনা করিয়াছি,জাপানীদের সঙ্গে সেইরূপই করিয়াছি। পরে ফরাসীদেশে গিয়াছি, জাৰ্ম্মাণিতে গিয়াছি ইত্যাদি । আমাদিগকে অতি অপদার্থ জাতি বলা হয় ; আমরা স্বদেশ-সেবক জাতি নই, আমাদের কর্তব্যজ্ঞান নাই, যখন তখন আমাদিগকে এইরূপ তিরস্কার করা হইয়া "থাকে। কিন্তু নিজ চক্ষে কি দেখিয়া আসিলাম ? জাপানের প্রথম কথা—রাষ্ট্রশক্তি। ইংরেজ, ফরাসী ও মার্কিণের প্রধান কথা রাষ্ট্রশক্তি। স্বদেশ-সেবা কোথায় ? ওসকল দেশে স্বদেশসেবক কৈ ? জাপান, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মাণি সৰ্ব্বত্র দেখিলাম,—স্বদেশ-সেবা বলিতে আমরা যাহা বুঝি, সে দরের স্বদেশ-সেবা সে সকল দেশে নাই। কাজ করিব আর না থাইয়া মরিব, ৫৭৷১০ বৎসর ধরিয়া এইভাবে জীবন সমর্পণ করিতে হইবে,—এ ধারণা, এ রকম কাৰ্য্যপ্রণালী সেখানে দেখি নাই । তাহ হইলে ওসব দেশ কি করিয়া চলিতেছে ? আপনার বলিবেন—”এত বড় লড়াই চলিল, লক্ষ লক্ষ লোক প্রাণ দিল—তাহারা স্বদেশ-সেবক নয় ।” আমি বলি—ঢাকের