পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা @● দৈব-বীমা দ্বিতীয় নম্বর দৈব-বীমা। এইটা আলাদা বস্তু। মনিবের কাজের জন্ত রাস্তায় হঁটিতে হাটিতে মোটর-চাপা পড়া সম্ভব। রেলে যাইতে যাইতে কলিশুনে মরিয়া যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফ্যাক্টরীতে কাজ করিতে করিতে আঙ্গুলের একটুকু কাটিয়া গেল। কে প্রতীকার করিবে ? তাহার জন্ত আইন হইল ১৮৮৪ সনে । তাহার আগাগোড়া মজার কথা। আমার কিছু পয়সা দিতে হইবে না। আমাকে বাচাইবার জন্ত কাণাকড়ি পৰ্য্যন্ত যে খরচ সে সব কারখানার মালিক দিতে বাধ্য । ডাক্তারকে ডাকিতে সে বাধ্য, ওষুধ পত্রের জন্য সে দায়ী। পরিবার প্রতিপালন করিতে মাসিক ভাতা দেওয়া দরকার, মনিব দিৰে । হাসপাতালে পাঠান দরকার, মনিব পাঠাইবে । আজকালকার কথা বলি না, আজকাল এত সমিতি হইয়াছে, নাম করিতে গেলে হয়রাণ হইতে হইবে । ১৯০৫ সনের কাছাকাছি সাড়ে পাচ কোটি লোকের মধ্যে প্রায় দুই কোটি লোক জাৰ্ম্মাণিতে দৈব-বীমা করিয়াছিল । তাহার হাসিয়া খেলিয়া অনেক কিছু করিতে পারিত, এখনও পারে । আমরা পারি না । তাহাদের চিরজীবনের ভার লইয়াছে অন্ত লোক । ধরা যাউক যেন আজ সন্ধ্যার সময় বাড়ী ফিরিবামাত্র ডাক্তারকে ৪২ টাকা ফি দিতে হইবে । সে কথা বাঙ্গালী কয় জন লোক না ভাবিয়া পারে ? কিন্তু জাৰ্ম্মণদের এ প্রশ্ন উঠিতে পারে না । এমন একটা চিন্তা উহাদের মগজে আসিয়াছিল যাহাতে দৈব নামক বস্ত চিন্তা করিবার তাহাদের আর প্রয়োজন হয় না । জন্ম হইতে শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যস্ত তাহারা নিশ্চিস্তভাবে, বেপরোয়াভাবে কাজ করিয়া যায় । এখানে বলিতে চাই, এ ধরণের চিস্তায় যাহাদের জীবনটা গড়িয়া উঠিয়াছে তাহাদের সঙ্গে আমাদের টঙ্কর