পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা ఆ9 কথা আর শুনিবার প্রয়োজন না থাকে । মরিলে আমি সাহায্য কল্পিৰ, ব্যাধি হইলে ওষুধপত্র দিব, যত রকম উপায় থাকিতে পারে সব দিক দিয়া যদি মজুর, গরীব, কেরাণী, ইস্কুলমাষ্টার ইত্যাদিকে সাহায্য করি তবে আন্দোলন চালাইবে কে ? পেট যতক্ষণ ঠাণ্ডা থাকিবে ততক্ষণ কেহ কিছু করিবে না। অতএব দাও উহাদের রুট, তাহার উপর দাও একটু মাখন, তারপর মাংস, তারপর আর একটু রুট ।” ফরাসীরা একটু রুট আর খুব জোর একটু কফি খায়। জাৰ্ম্মণদের লাগে আগে রুট, তারপর মাখন, তারপর মাংস ৷ তাহারা খাইতে খাইতে চলে, কাজ কৰ্ম্ম করে, পাচ পাচ বার খায়, আর তাহদের মজুর চাষীরা পৰ্য্যন্ত মোটা হইয়া উঠে। বিসমার্ক বলিল—“সব লোককে পাচ বেলা খাওয়াও, তাহা হইলে ‘স্বদেশী" বক্তৃতা দিবার বা শুনিবার সময় থাকিবে না । যাহারা আন্দোলন চালাইতেছে, তাহদের মুখ বন্ধ হইয়া থাকিবে । পেট ভৰ্ত্তি করিলে মুখ বন্ধ হয় । তাই বিসমার্ক তাহাদের পেট ভৰ্ত্তি করিয়া রাখিয়াছে’ ইত্যাদি ধরণের ব্যাখ্যা পাই ফরাসী পণ্ডিত-মহলে । ফরাসীদের আত্ম-প্রশংসা ফরাসীরা বলিতেছে *জাৰ্ম্মাণদের সমাজ পচা, তাহকে বাচাইবার জন্ত তাহার একটা কিছু করিতেছে। আমরা ফরাসী, সমস্ত পৃথিবীর দৃষ্টাস্তস্থল, পৃথিবীর যত বড় বড় চিন্তা বা আদর্শ সব আমরা, এই ফরাসীজাতি আবিষ্কার করিয়াছি । আমাদের লোককে শিখাইবে উহারা । আমাদের স্ত্রী পুত্র পরিবার যারপর নাই সংযমী, তাহাদিগকে সংযম শিখাইবার প্রয়োজন নাই ।” আযি গল্প করিতেছি না। আমি সেই পণ্ডিত-সত্যের সভ্য । তাহারা আমাকে বলিয়াছে, “তুমি ভারতে গিয়া আমাদের এই মত প্রচার করিও” ।