পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন * চাৰী আর পল্লী ভারভের একচেটিয়া নহে খাওয়া-পরার সঙ্গে জমিজমার সম্বন্ধ অতি নিবিড়। এ কেবল আমাদের দেশে নহে,—সকল দেশেই চাষ-আবাদ আর আর্থিক উন্নতি খুৰ লাগালাগি চীজ, কথাটা ভাল করিয়া জানিয়া রাখা উচিত। কেননা আমাদের দেশে একটা বুখনি চালানো হইয়া থাকে যে, ভারত হইতেছে কৃষিপ্রধান দেশ, আর দুনিয়ার অন্তান্ত মুল্লুক হইল শিল্প-প্রধান জনপদ। ভারতের ধাতে নাকি শিল্প-কারখানা সহ হয় না আর দুনিয়াখানার আর কোথাও নাকি চাষ-আবাদ বরদাস্ত হইবার সম্ভাবনা নাই। চাষ বনাম শিল্প মামলায় ভারতবর্ষকে একটা স্বষ্টি-ছাড়া মুল্লুক বিবেচনা করা আমাদের স্বদেশসেবকদের, “দার্শনিক” পণ্ডিতদের, ধনতাৰিক মহাশয়দের একটা প্রকাও বাতিকে দাড়াইয়া গিয়াছে। কিন্তু এই বাতিকটার আগাগোড়া সবই বুজরুকি। ইয়োরামেরিকার ধনদৌলত-ঘটিত আর নরনারী-ঘটিত ষ্ট্যাটিষ্টিকসের অঙ্কগুলা দেখিলেই বুজরুকি হাতে হাতে ধরা পড়িতে বাধ্য। চাষের জন্য লাখ লাখ কোটি কোটি লোক ইয়োরামেরিকার দেশে দেশে আজও বাহাল আছে। হয় খোদ চাষী হিসাবে না হয় চাষীদের নিয়োগকর্তা মনিব হিসাবে এই সকল লোকেরা অন্ন সংস্থান করিয়া থাকে। এই যে দুনিয়ায় আজকাল শিল্পবিপ্লবের তুমুল প্লাবন বহিয়া যাইতেছে, এই যুগেও আদমশুমারিতে • জাতীয় শিক্ষাপরিষদের ভাবধানে প্রাভ বক্তৃতার সারাংশ। ফেব্রুয়ারি, ১৯২৪।