পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন Գֆ একটা বড় জিনিষ সন্দেহ নাই, আর সঙ্গে সঙ্গে যদি “রাষ্ট্রীয়" স্বাধীনতাও থাকে তাহা হইলে “সোনায় সোহাগা” । রাষ্ট্ৰীয় স্বাধীনতা কাহাকে বলে ? প্রথমতঃ বুঝিতে হইবে যে, গোটা দেশটা অন্য কোনো দেশের অধীন নয়। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ফ্রান্স, জাৰ্ম্মাণি ইত্যাদি দেশ অবশু মোটের উপর আগাগোড়া রাষ্ট্রীয় হিসাবে স্বাধীন। কিন্তু চাষীদের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা বলিলে একটা শ্রেণী-বিশেষের কথা বুঝিতে হইবে । চাষীরা যদি সরকারী প্রতিষ্ঠানে—পাল্যামেণ্ট, স্তশিষ্ঠাল অ্যাসেম্রি ইত্যাদি সভায় ভোট দিবার অধিকার পায়, তাহা হইলে তাহার রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ভোগ করিতেছে বুঝিতে হইবে। এ হইতেছে “ডেমোক্রেসী”র অর্থাৎ আত্মকর্তৃত্বের মামলা। ফরাসী বিপ্লবের সময় ইয়োরোপে এই স্বরাজ অর্থাৎ জনগণের আত্মকর্তৃত্ব খানিকট মাথা তুলিয়াছে। তার পরবর্তী ত্রিশ চল্লিশ বৎসরের ভিতর নানা দেশে এইদিকে নানা আন্দোলন চলিয়াছে । আসল ফল যদিও বেশী দেখা যায় নাই, তবুও মোটের উপর বলা যাইতে পারে যে,কিছু কিছু রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা চাধীদের হাতেও আসিয়াছে । দেখা যাইতেছে যে, আইনের চোখে একপ্রকার স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রীয় জীব হিসাবে দুই প্রকার স্বাধীনতা চাষীরা উনবিংশ শতাব্দীর ইয়োরোপে কোথাও কোথাও ভোগ করিয়াছে। কিন্তু এই দুই শ্রেণীর তিন প্রকার স্বাধীনতায় তাদের পেট ভরিয়াছে কি ? ভরে নাই। তাই চলিয়াছে ওসব দেশে আবার আন্দোলন, আবার বিপ্লব। জমিজমার আইন-কানুন কোথাও আসিয়া একটা স্বর্ণযুগে ঠেকে নাই । আবার তাহাকে ভাঙ্গিয়া নতুন গড়ন দিবার আয়োজন হইয়াছে। কথাটা ভারতের স্বদেশ-সেবক গণের পক্ষে টোক গিলিয়া গিলিয়া হজম করা উচিত । সমস্তাটা কোথায় ? ফরাসী বিপ্লব আর ষ্টাইন-হার্ডেনবার্গের সংস্কার