পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন b"> প্রধানতঃ আইনগত স্বাধীনতা আর কিছু কিছু আত্মকর্তৃত্বসংক্রান্ত স্বাধীনতা ১৯২৬ সনের ভারতসন্তান ভোগ করে । তা চরমপন্থী রাষ্টিকদের পক্ষেও স্বীকার করা সম্ভব । এই দুই তরফে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ভারতীয়ের খানিকটা সাম্য দেখা যাইতেছে। এইবার বলছি যে “ততঃ কিম’ নামক অবস্থ। ইয়োরোপের পক্ষেও যেরূপ আমাদের ভারতের পক্ষেও সেইরূপ দাড়াইয়া গিয়াছে। বর্তমানক্ষেত্রে জমিজমার কথা বলা হইতেছে । ভারতীয় চাষীদের আর্থিক স্বাধীনতা কোথায় ? ১৮৫০ সনের জাৰ্ম্মাণ অবস্থা ১৯২৬ সনের ভারতীয় অবস্থারই সমান । ভারতে ফী চাষী প্রতি “দুবেলা হাড়ী চড়াবার” উপযুক্ত যথেষ্ট জমি আছে কি ? এই হইতেছে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সনাতন সমস্তা । শুধু বাঙলাদেশের কথা বলিতেছি। আমাদের ২৭ জেলার ১৫টায় ইতিমধ্যে “সেটলমেণ্টের” বা জমিজমার দখল, অধিকার, চৌহদি ইত্যাদির স্থিরীকরণ সাধিত হইয়াছে, সরকারী শাসন বিভাগের আওতায় । তাতে চাষীদের জমির পরিমাণ কিরূপ দেখিতে পাই ? বাঙলার চাষীদের কপালে গড়পড়তা বিঘা ভিনেক জমি পড়ে । তিন বিঘা জমির ফসলে এক এক চাষীর ভরণপোষণ সম্ভবপর কি ? এই প্রশ্নটা আজও ভারতবাসীর মাথায় আসিয়া পৌছিয়াছে কিনা জানি না । হয়ত বা কাহারে! কাহারো মাথায় পৌছিয়াছে। কিন্তু জাৰ্ম্মণরা আমাদের দুই তিন পুরুষ আগে এই লইয়া মগজ খেলাইয়াছে । আর জাৰ্ম্মাণদের দেখাদেখি জুনিয়ার অন্যান্ত দেশেও লোকেরা আর্থিক স্বাধীনতার এই “চাষীপ্রতি ভূমির পরিমাণ” তরফট অলোচনা করিতে শিখিয়াছে । বাঙলা দেশে বেশী লোকের মাথায় যে “ভূমির পরিমাণ” সমস্তাটা প্রবেশ করে নাই তার একটা বড় প্রমাণ আমরা যখন তখন পাই । আজকাল দেশে যেখানে-সেখানে শুনিতেছি,—ছেলে ছোকরা যুবা মাষ্টার