পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন S) আসিয়াছে। গবর্ণমেণ্ট দিতেছে তাদেরকে ধার। কত ? জমির দামের শতকরা ৯• অংশ । অর্থাৎ হাজার টাকার জমি কিনিতে যে চায় তার যদি নিজের তহবিলে মাত্র ১ • •২ টাকাও থাকে তাহা হইলে গবর্ণমেণ্ট তার অবশিষ্ট ৯••N টাকার জন্ত জিন্ম লইতেছে। চাষীর। গবর্ণমেণ্টকে স্বদ দিতেছে কত হারে ? মাত্র শতকরা ৩ হিসাবে (প্রথম ৫ বৎসর ধরিয়া এই হার ) পরে শতকরা ৪২ দেওয়া হয় । তার ১২ টাকা আবার যায় ধার শুধিবার খাতে। জমিটা কিছুকাল পর্য্যন্ত গবর্ণমেণ্টের খাশ সম্পত্তি বিবেচিত হয়। কিন্তু যে মুহূর্তে চাষীরা দামটা শোধ কয়িয়া দেয় সেই মুহুর্তে তারাই আসল মালিক । ডেন্মার্কের লোকজন ৪৫ বিঘা জমিকে “ছোট” বা “পারিবারিক" আবাদ সম বিতে অভ্যস্ত। এই পরিমাণ জমিই গড়ে প্রায় প্রত্যেক টুকরার হিস্তায় পড়িয়াছে। ২৩২৪ বৎসরের ভিতর ডেন্মার্কে প্রায় ১•,• • • নতুন “ছোট্ট কিষাণ" গড়িয়া উঠিয়াছে। বাঙালাদেশের দুই তিন জেলায় লাখ ত্রিশেক লোকের বাস । ডেন্মার্কের লোকসংখ্যা ঐ পৰ্য্যস্ত। তাতে যদি বিশ-পচিশ বৎসরের ভিতর হাজার দশেক স্বাধীন কিষাণ-মালিক স্বষ্টি করা যায় তার আর্থিক ও সামাজিক কিন্মং সহজেই অমুমেয় । খরচ পড়িয়াছে প্রায় ৪॥• কোটি টাকা । জমিদার-দলন-নীতির এক অধ্যায় (১৯১৯ ) ভূমি-বিপ্লবটা সাধিত হইতেছে আইনের জোরে বটে। বোলশেহির্কদের লুটপাট মারকটি ইত্যাদি হাঙ্গামা দেখা যাইতেছে না সত্য । কিন্তু নেহাৎ গোলাপ-জলের পিচকারি দিয়া জমিজমার ভাগ-বাটোয়ার। চালানো হইতেছে এরূপ বুঝিবার কারণও নাই । গবর্ণমেণ্ট জমিদারদের সঙ্গে যেরূপ ব্যবহার করিতেছে, তাকে সোজ।