পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> S8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন দিয়াই তাহাদের আচরণ প্রাচ্যের প্রতি প্রাচ্যের অনুরূপ নয়, অর্থাৎ তাহাদের ব্যবহার ইংরেজ মালিকদের ব্যবহারেরই সমতুল। কাজেকাজেই ভারতের মজুরের দেশীয় ও বিদেশীয় মালিকের মধ্যে কোনো রকম ইতর-বিশেষ করিতে পারে না । আজ তাই ভারতের শ্রমিক সমাজ পুজির বিপক্ষে, “ধনতন্ত্রে”র বিপক্ষে, দাড়াইতে শিখিতেছে। কোন জাত, কোন দেশের লোক, কোন ব্যক্তি-বিশেষ এই পুজির মালিক তাহার প্রতি তাহদের ভ্রুক্ষেপ নাই । ভারতীয় শ্রেমিক-পত্রিকা ভারতের শ্রমিক এখন উদ্বুদ্ধ হইবার চেষ্টা করিতেছে। ইহার মধ্যেই "নিখিল ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস” দেখা দিয়াছে। তাহার শাখাপ্রশাখাও প্রদেশে প্রদেশে ব্যাপ্ত হইয়াছে এবং প্রতি বর্ষে তাহার বৈঠকও বসিতেছে । ত্রিশ বৎসর আগে কেবলমাত্র একখানি শ্রমিকপত্রিকা ছিল । বোম্বাইয়ের স্বদেশ-প্রেমিক লখনদে গুজরাটী ভাষায় তাহা প্রকাশ করেন । তাহার নাম ছিল "দীনবন্ধু” । কিন্তু আজ সেইখানে ভারতের বিভিন্ন ভাষায় এবং ইংরেজীতে প্রকাশিত প্রায় বিশখানি পত্রিকার নাম করা যায় । তাহাদের মধ্যে কতকগুলি শ্রমিকদের নিজেদের দ্বারাই পরিচালিত । অন্ত সম্প্রদায়ের তাহাতে হাত নাই । মারাঠী ভাষায় “কামগর উদয়” নামে একখানি পত্রিকা আছে। বোম্বাইয়ের ‘সেন্টাল লেবার বোর্ড কর্তৃক তাহ প্রকাশিত। মারাঠী সাপ্তাহিক “কামকরী’ও বোম্বাই হইতে প্রকাশিত হয় । আহম্মদাবাদে গুজরাট ভাষায় “মজুর-সন্দেশ” নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা আছে । কানপুর হইতে হিন্দীতে “মজদূর” পত্রিক সপ্তাহে হুইবার