পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>、 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বেটী বস্-রাটের ( কৰ্ম্মসভার) সঙ্গে মলিবের সম্বন্ধ কি উদ্দেশ্যে এইসব কৰ্ম্মকেন্দ্র গঠিত হইল ? মানুষের যাহা কিছু প্রতিষ্ঠান আছে প্রত্যেকটিতেই এই “বেটী বসরাটের” হস্তক্ষেপ করিবার অধিকার আছে । কৰ্ম্মকেন্দ্রের যে কোন বিভাগেই এই “কৰ্ম্মসভা” গড়িয়া তোলা যাইতে পারে। মজুর-সম্পর্কিত যত প্রকার নিয়ম কানুন করা হইবে, “কৰ্ম্মসভা" কৰ্ম্মকেন্দ্রে তা চালাইয়া লইবে । গভর্ণমেণ্ট মজুরের স্বার্থে মহাজনের বিরুদ্ধে যাহা কিছু আইন কায়েম করিবে তাহার তদবির করিবার ভারও এই “কৰ্ম্মসভার হাতে । কাহাকে কত মাইনে দেওয়া হইবে, কাহাকে কোন সময় শাসন করা দরকার, এসব করিবে ঐ মজুরদের প্রতিনিধি, কারখানাদার নয় । এখন মনে রাখা আবশ্বক যে, যে সকল দেশে মামুলি মজুর-সমিতিই ভাল রকম গড়িয়া উঠে নাই সেই সকল দেশের লোক নাবালক মাত্র । নাবালকদের পক্ষে ট্রেড ইউনিয়নের পরের ধাপ “বেটী বসরাট বুঝিতে পারা অসাধ্য।" ষে যে স্থলে মনিবের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্ঘবদ্ধ চুক্তি করা হইয়াছে, সেই সকল স্থলে “কৰ্ম্মসভা” চুক্তি-মাফিক কাজ হইতেছে কিনা তাহার তদবির করে । আর যেখানে চুক্তি নাই সেখানে মজুরদের সঙ্গে মালিকের চুক্তি করানো হইতেছে মতলব। এই স্বরাজের ফলে কৰ্ম্মকেন্দ্রের ভিতরে বসিয়া ট্রেড ইউনিয়নের হুকুম গুলা জারি করানো সম্ভব । আমাদের দেশেও ট্রেডইউনিয়ন স্থাপিত হইয়াছে । এইটা কি জিনিষ তাহার কিছু কিছু ধারণ আমরা করিতে পারি। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের ছকুম বা ইচ্ছা তামিল হইতেছে কিনা তাহ দেখিবার জন্ত “বেটী,বসরাট” নাই। ধরা যাউক যেন ট্রেড ইউনিয়ন বলিয়াছে ১০টা হইতে ৫ট পর্বত্ত আফিস চলিবে, ইহার বেশী নয়। যদি মনিব এ করিতে রাজী না