পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনোৎপাদনের বিদ্যাপীঠ ১২৯ যাক,—খারাপাত পড়া যেমন ধনোৎপাদনে হাত মক্স করা পুরুতগিরিও তেমনি । দুনিয়ার এমন কোনো বিদ্যা নাই, ষা অর্থকরী নয়। ঋগ্বেদের যুগে, ছোমারের আমলে, মৌৰ্য-ভারতে বা মোগলভারতে যে সব পাঠশালা ছিল, সেগুলিও ধনোৎপাদনেরই পাঠশালা। এই ষে পলটন বা ফৌজের কাজ ইহাও সেই ভাতকাপড়ের জন্ত । কি প্রাচীন কাল, কি মধ্যযুগ, কি এশিয়া কি ইয়োরোপ এসবের সকল পাঠশালাই ধনোৎপাদনের আখড়া । “ভোকেশন্যাল স্কুল” জগতের নবীন আবিষ্কার বিদেশে থাকিবার সময় একটা কথা ভারতীয় মহলে বার বার শুনিতে পী ওয়া যাইত । কথাটা “ভোকেশদ্যাল স্কুল ।” ভোকেশন মানে তো ব্যবসা। মানুষ যা-কিছু করে সবই তো “ভোকেশন” । আমাদের জননায়ক ও ইউনিভাসিটি পরিচালকরা সকলেই বলিতেছেন “ভোকেশদ্যাল ইস্কুল কর” । আমি বলি, “ভোকেশন্তাল ইস্কুল তো রহিয়াছে । ছনিয়ায় যত কিছু কারবার আছে বা হইতেছে, লাগাং পুরুত্তগিরি—এ সবই তো ভোকেশন্তাল স্কুলে শেখ হইয়া থাকে।” আসল কথা, জননায়কগণ কেবল কথাটাই ব্যবহার করিতে শিখিয়াছেন, কিন্তু বস্তটা বোঝেন না । আপনারা বলিবেন, এর আর বুঝাবুঝি কি ? আমার জবাব এই যে, যে ধরণের ভোকেশন্তাল ইকূল ছনিয়াতে চলিতেছে, সে বিষয়ে ভারতবাসী সজাগ নয়। আপনারা হয়ত টুটি চাপিয়া ধরিয়া বলিবেন, “ল কলেজ ভোকেশন্তাল ইস্কুল নয়? এঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারী, কেরাণীগিরি এ সব যে সব স্কুলে শেখান হয়, সে সব ভোকেশম্ভাল নয় ?” আমি ত প্রথমেই বলিয়া চুকাইয়াছি,-“নিশ্চয়ই, এ সৰ মালবৎ ভোকেশদ্যাল ।” কিন্তু আমি বলিব আপনারা মাত্র শব্দটি