পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন و 8 هج পশ্চিমের যে পথ পূরবেরও সেই পথ তারপর আপনার বলিবেন, পূরবের পথ আর পশ্চিমের পথ আলাদা আলাদা । ওরা যে পথে চলে, সে পথের পথিক নাকি আমরা নহি । আমরা যে পথে চলি সে পথের পথিক নাকি ওরা নয় ইত্যাদি । আমি বলি—এই মতটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত । এই মতের পশ্চাতে কোন তথ্য, কোন যুক্তি নাই। সেই গ্রীক আমল হইতে উনবিংশ শতাব্দীর আমল পৰ্য্যন্ত— জমিজমার আইন, জমিদারের সঙ্গে রায়তের সম্বন্ধ, স্ত্রীর সঙ্গে পুরুষের সম্বন্ধ, স্ত্রীর স্বত্বাধিকার, রাজার সঙ্গে প্রজার সম্বন্ধ, বা দসাহের গোলামী করা, কুর্ণিস করা—যা-কিছু আমরা ইয়োরোপে দেখি ভারতেও ঠিক তাই দেখি । অর্থাৎ এশিয়া যা কিছু দেপাইয়াছে ইয়োরোপ ও যুগে যুগে ঠিক সে সবই দেখাইয়াছে । তারপর বাম্পযন্ত্র নামক একটা জানোয়ার পৃথিবীতে দেখা দিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাদ্ধে । যন্ত্রটা প্রথম তুলার কারবারে দেখা দিল বিলাতে। তখন হইতে আজ পয্যন্ত এই যে ১২৫ ১৫০ বৎসর, আমরা—ভারত, চীন, পারস্ত, জাপান—ঠিক তাই করিতেছি, যা কিছু করিয়াছে ইংরেজ, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, আমেরিকান ও ইতালিয়ান । ওরা ট্রেড ইউনিয়ন কায়েম করিয়াছে, আমরা ও ট্রেড ইউনিয়ান করিতেছি । ওরা ফ্যাক্টরী আইন করিল, আমরাও ফ্যাক্টরী আইন করিলাম। ওরা এক রকম কামুন করিল, তার নাম হইল নগর-স্বরাজ বিষয়ক আইন। আমাদের দেশেও একটা কামুন তৈয়ারী হইল, তার নাম হইল নগর-স্বরাজ বিষয়ক আইন। অবশু খাটি স্বায়ত্তশাসন বিষয়ক আইন বলিতে যা বুঝায়, আমাদের দেশে ঠিক তা এখনো হয় নাই । ওরা ইস্কুল করে, বিশ্ববিদ্যালয় করে, আমরাও ইস্কুল করি, বিশ্ববিদ্যালয় করি—ঠিক একই প্রণালীতে ।