পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>やが● নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কারখানা। খুব গরীবের ঘরেও গিয়াছি, কাউকে কিছু না বলিয়া খবর না দিয়া ঢুকিয়াছি। আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব এমন হইয়াছে যে, বলিয়া কহিয়া যাওয়ার দরকার হয় নাই। এমন নয় যে, আমি যাইব বলিয়া ঘরদের সব পরিষ্কার করিয়া রাখিয়াছে । যখন তখন গিয়া হাজির হইয়াছি। এমন কখনও দেখি নাই যে, কোন জাৰ্ম্মাণ পরিবারে শিঞ্জিলমিছিল নাই । রান্নাঘরে যখনই যান দেখিবেন এটা যেন উচু দরের একটি ল্যাবরেটরী । কোনো ঘরের কোথাও একটু ঝুল থাকিতে পারে, এটা কোন জাৰ্ম্মাণ মেয়ের কল্পনায় অসম্ভব । আমরা যাকে গিল্পী বা গৃহিণী বলি—জাৰ্ম্মাণিতে তাকে বলে—“হাউসফ্রাও।” সে জীব বর্তমান শিক্ষাদীক্ষার যুগে এমন অবস্থায় আসিয়া ঠেকিয়াছে যে, চোখে না দেখিলে তাহা কল্পনা করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব । গরুর গাড়ীর বেশী যারা কিছু চোখে দেখে নাই তাদের পক্ষে অটোমোবিল এরোপ্লেন কল্পনা করা কঠিন। মামুলি গিরগিরিতে অভ্যন্ত নরনারীর পক্ষে বিংশ শতাব্দীর জাৰ্ম্মাণ “হাউসফ্রাও”য়ের কৃতিত্ব কল্পনা করাও প্রায় ঠিক সেই দরের কঠিন চিজ । এর চব্বিশ ঘণ্টাই খাটিতেছে। মাথার খাটুনিও কম নয়। খবরের কাগজে—মাসিকে সাপ্তাহিকে-পড়িতেছে অমুক ঘণ্ট কি অমুক তরকারী রাধিবার কায়দা । খাবারটা একসঙ্গে সস্তা ও পুষ্টিকর। পড়িতেছে— ছেলেকে শিখাইবার জন্ত এমন কৌশল হইয়াছে যে তাকে আর ইস্থলে পাঠাইতে হইবে না, সে ঘরে বসিয়া নিজেই শিখিতে পারে। পড়িতেছে—কি একটা নতুন গানের স্বর আবিষ্কৃত হইয়াছে। ঘরে বসিয়া অল্প খরচে এর নানাদিকে নিজ নিজ ক্ষমতা বাড়াইতেছে। এরা হাড়ভাঙ্গা খাটুনী খাটিতেছে। এইবার ভাবিয়া দেখুন, যদি অন্ত লোক দিয়া কুঠুরী পরিষ্কার, আসবাৰ ঝাড়, সন্তান-সন্ততি পালন, রান্নাবাড়ি