পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఆచి নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন হিন্দুত্ব বা আধ্যাত্মিকতা নাই । অাছে আমাদের মগজের আলস্ত আর চরিত্রের ক্ষুদ্রতা ও স্বার্থপরতা । ভিতরকার কথা এই,—আমাদের যখন অমুখ হয় তখন আমরা মনে করি, নিজের মা বোন থাকে ত খাটিবে, বিধবা মাসী পিসী থাকে তারা খাটিবে, এর চেয়ে আর কি ভাল হইতে পারে ? বিধবাকে দিয়া খাটাইয়া নিতেছি, এক জনকে দিয়া কাজ করাইয়া লইতেছি, তার সুবিধা-অসুবিধা, তার ব্যক্তিত্ব একবার চিন্তা করিতেছি কি ? যাক সে কথা। যদি আমাদের দেশে এমন কতকগুলা কেন্দ্র থাকে যাতে শিক্ষিত ডাক্তারের অধীনে বাড়ী ঘর আস্তানা পাই, ডাক্তারের সাহায্য পাই, খাওয়া দাওয়ার আরাম থাকে, সপ্তাহে বা মাসে বা রোজ বাড়ীর লোক আসিয়া আমাদের দেখিয়া যায়, আমি বলি এ ব্যবস্থাটা কি নিন্দনীয় ব্যবস্থা ? এ ধরণের ব্যবস্থা আমাদের নাই । যদি হয় আমাদের সুখ-সুবিধা অনেক বাড়িবে। আপনারা স্বীকার করেন কি না জানি না। জাৰ্ম্মাণিতে এই প্রণালীর চরম উন্নতি হইয়াছে। বালিনে যান, মিউনিকে যান, প্রায় এমন কোন রাস্তা নাই যেখানে একটি না একটি স্বাস্থ্য-নিবাস—যা এক হিসাবে হোটেল, এক হিসাবে হাসপাতাল— চলিতেছে না । এর কর্তা হয় কারা ? গিল্পীপনায় শিক্ষিত যে সব নারী তারা এই সব স্থানে কতৃত্ব করে । তৃতীয় রকমের দৃষ্টান্ত—তাও আমাদের দেশে নাই । জাৰ্ম্মাণির মধ্যবিত্ত লোক ইচ্ছা করিলেই সাধারণ ইস্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ে পাঠাইতে পারে, কিন্তু সব সময় ছেলেকে ইস্কুলে পাঠাইয়া সুখী হয় না। তারা চায়, কোন এক ভাল শিক্ষয়িত্রী ছেলেদের দায়িত্ব লউক্ এবং সেখানে তার যত রকম শিক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার সে করুক। এই ধরণের ব্যবস্থা জাৰ্ম্মাণিতে অনেক আছে । স্বাস্থ্যকর জায়গায় আছে, বহু বড় সহরে আছে, পল্লীতেও আছে। সেগুলিকে