পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ×&უ© এই ধরণের বচন জাৰ্ম্মাণিতে ছিল, ফ্রান্সেও ছিল । বস্তুতঃ এখনও আছে । “আকাশের অমুক কোণে যদি এই ধরণের মেঘ হয়, কুছ পরোয় নাই, দাও মারিয়া লইব”—তাদের এই রকম ধারণ আছে তাদের খনা বলিয়া গিয়াছে—“ঐ রকম মেঘ যদি হয় তা হইলে আলু, গম, যব— হাতী, ঘোড়া একটা কিছু হইবেই হইবে।” কিন্তু হাওয়া একটু একটু বদলাইতেছে । জাৰ্ম্মাণি ও ফ্রান্স বদলিয়া গিয়াছে । খনার বচনের উপর নির্ভর করিয়া আর ফরাসীরা জম্মিাণরা চাষ চালায় না । তার। চাষ-আবাদ শিখিবার জন্তই ইস্কুল কায়েম করে । নারী-সমস্যা সম্বন্ধে, গৃহস্থালী-সমস্ত সম্বন্ধে ও আজকাল কার জাৰ্ম্মাণর ফরাসীরা ঠিক ঐরূপ মীমাংসাই করিয়াছে । মেয়েদের শিক্ষার কেন্দ্র গৃহ না ইস্কুল ?—এই প্রশ্নের জবাবে শেষ পর্য্যন্ত ইস্কুল নামক প্রতিষ্ঠান গড়া দবকার হইয়াছে । সেই সমস্তা গুলি এতদিনে এশিয়ায় আসিতেছে । আমরাও সেকালের ফরাসী-জাৰ্ম্মণদের মতন এদিক ওদিক ভাবিতেছি । হিন্দু, মুসলমান, পাসী, চীনা, বৌদ্ধ—এদের মাথায় একটা নতুন কিন্তুতকিমাকার প্রশ্ন হাজির হয় নাই। সুয়েজ খালের ওপারে খ্ৰীষ্টিয়ান, সাদা চামড়া যাদের—তাদের কাছেও এই সমস্ত আসিয়াছিল—পরিবার বনাম বিদ্যালয় । বিদ্যালয়ে মেয়ে পাঠাইব কি পাঠাইব না ? গৃহস্থালী শিক্ষার জন্ত পরিবার আসল বিদ্যাকেন্দ্র, না ইস্কুল নামক কৰ্ম্মকেন্দ্র কায়েম করা দরকার ? আমাদের দেশী একটা দৃষ্টান্ত দিলে বুঝিতে পরিবেন । আগেকার লোকেরা তেঁতুল দিয়া ডেকচি পরিষ্কার করিত, এখন তেঁতুল পাওয়া যায় না। অস্তান্ত জিনিষের ন্যায় তেঁতুলের দাম এত বাড়িয়া গিয়াছে যে, তেঁতুলের ব্যবসা চালান যায়। ডেকচি পরিষ্কার করিতে অন্ত জিনিষ আবিষ্কার করা দরকার । আবিষ্কার আরম্ভ হইয়াছে।