পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জগতে আধুনিক নারী ১৭৩ কাজে আসে তার জেল হইবে এ রকম ব্যবস্থা আছে । যে কোন লোক যেমন ছুতোর হইতে পারে না—তার করাত আছে বলিয়াই সে কাঠ কাটাকাটি সুরু করিয়া দিবে এরূপ সম্ভাবনা জাৰ্ম্মাণিতে নাই—তেমনি অামি নাস নামক কোনো ভগ্নী, অতএব যে কোন রোগীর কাছে আমি হাজির হইতে পারি, জাৰ্ম্মাণীতে তার জো নাই । এই হইতেছে এক নস্বরের সমাজ-সেবা । দ্বিতীয় নম্বৰ, শিশু-ঘটিত যা-কিছু শিশু-জীবনের স্বাস্থ্যরক্ষা, আর ৬ বৎসর পর্য্যন্ত বাল্যশিক্ষণ ইত্যাদির জন্য হাজার হাজার মেয়ে তৈয়ারি হইতেছে, তারা পৃ টি কিণ্ডারগার্টেন প্রণালীতে শিশু-সঙ্গিনী হইয়া তৈয়ারি হয় । এই সকল শিশু কেন্দ্রে নানা বিভাগ ও তাতে নানা রকম শিক্ষার ব্যবস্থা আছে । তার জন্য মেয়ের বিশেষ ভাবে স্বতন্ত্র উপায়ে তৈয়ারি ৪য় । তার জন্য পরীক্ষা আছে । তৃতীয় ধরণের সমাজ-সেবা —অর্থ-বিষয়ক ; সমাজ-জীবনে বীমা প্রথা জাৰ্ম্মাণির বিশেষত্ব । বীমার প্রতিষ্ঠান, বীমার আইন—এসব জিনিষ তার চরম বুঝে। টেকনিক্যাল বিষয়ক, গ্যাসবিষ বিষয়ক, ধনোৎপাদন বিষয়ক, যানবাহন বিষয়ক, ব্যাঙ্ক বিসয়ক যে সব প্রতিষ্ঠান আছে তাতে গোটা দেশের ইতিহাস, জীবনযাত্র প্রণালী, ব্যবসা-বাণিজ্য কোথায় কেমন চলিতেছে তার খবর রাখা নেহাৎ জরুরী । এষ্ট সকল গবেষণাব কাজে মেয়েরা বাগল হয় । তারা আর্থিক অনুসন্ধান আর বাজার-গবেষণাকে সমাজ-সেবা বলিয়া গণ্য করিয়াছে । সমাজসেবার মহিল-বিদ্যালয় রকম রকম সমাজ-সেবা করিয়া হাজার হাজার জাৰ্ম্মাণ মেয়ে ভাত কাপড়ের সংস্থান করে । আর সমাজ-সেবার ব্যবস্থা শিখিবার জন্ত ইস্কুল