পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্থিক জগতে আধুনিক নারী ᎼᏄᏩ☾ বক্তৃত চলিবে। তার ছবি তুলিব, কত রকম প্রপাগাণ্ড চালাইব ; সমস্ত পৃথিবীকে উৎকৰ্ণ করিয়া তুলিব । এইরূপই সকল ক্ষেত্রে আমরা সচরাচর করিয়া থাকি। করাটা অদ্যায় নয়, কারণ আমাদের দেশে “এরণ্ডোইপি দ্রুমায়তে ।” খাতাইয়। যদি দেখেন, ১৯০৫ —২৬ সন পৰ্য্যস্ত যুবক ভারতের আমরা বিভিন্ন কৰ্ম্মক্ষেত্রে যা কিছু করিয়াছি তার প্রায় সবই “এরণ্ডোইপি দ্রুমায়তে ” অর্থাৎ আমাদের সব চেয়ে বড় পণ্ডিত, বড় রাষ্ট্রপতি, বড় ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠাতা, সব চেয়ে বড় স্বদেশসেবক —কি পুরুষ কি স্ত্রী প্রায় সকলেই এক প্রকার “এরণ্ডোইপি ক্রমায়তে" মাত্র। কিছু অতিরঞ্জিত করিয়া বলা হইল বোধ হয়। তবে খাটি সত্যটা বেশী দূরে নয়। কিন্তু জাৰ্ম্মাণিতে “এরও” লইয়া আর চলে না। হয়ত ষাট সত্তর বৎসর আগে চলিলেও চলিত। কিন্তু আজ আর চলে না ; ওদের প্রত্যেক কাজের ল স্বা লম্বা মাপ-কাঠি আছে । সেহ মাপে চলা চাই। আমাদের একজন মেয়ে স্বদেশ-সেবক, কংগ্রেসকৰ্ম্মী, নাস, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানবিং ইত্যাদি থাকিলে আমরা মাতামাতি করি । কিন্তু জাৰ্ম্মাণি বলিতেছে—“আগে বি-এ, বি-এস-সি পাশ কর, তার পর কথা কহিব ; এই পাশের পর তিন বৎসর হাতেকলমে কাজ কর গিয়া এখানে ওখানে সেখানে, তার পর আসিস্—দেখা যাইবে—কথা বলিব কি না । তার পর আড়াই তিন বৎসর লেখাপড়া কর অমুক ইস্কুলে। পাশটাশ করিয়৷ নে ।” তখনও বলিতেছে, “উপযুক্ত হ’স নাই।” আরে মলো যা । কখন উপযুক্ত হইবে ? যখন কমসে কম ২৫ বৎসর বয়স হইয়াছে তখন তাকে সার্টিফিকেট দেওয়া যাইবে । সেই সার্টিফিকেট লইয়া তবে সে কিছু টাকা রোজগার করিতে পারিবে। এই মাপকাঠি সোজা জিনিষ কি ? ১৯২৬ সনে আমরা এটা কল্পনা করিতে পারি কি ? ১৯৪৫ সনে একথা বলিবার লোক ভারতে ছিল কি না জানি না । ১৯২৬