পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xbre নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন জামাকে গাল দিতেন —“তোর মত আহম্মক আর কেউ নাই । ভারতের কথা—যার মূল্য ছটাকও হইবে না—তুই কিনা তাই আইনষ্টাইন, হাবার, ব্যর্গসঁ, ডুয়ী, গিলবার্ট মারে ইত্যাদির মতন বড় বড় মহারথীর সভায় লম্বা গলা করিয়া বলিয়া যাস ! তোর এতটুকু লজ্জাও করে না ?” কিন্তু তাহা সত্ত্বেও আমার মাপকাঠিতে ভারত সম্বন্ধে যাহা কিছু উল্লেখযোগ্য পাই তাহ আমি উচু গলায় বলিতে ছাড়ি নাই। তবুও তাকে ঠিক “প্রশংসা” করা বলা যায় কিনা সন্দেহ । কেননা,-আমার ব্যবসা হইতেছে যথাসম্ভব খাটি তথ্যগুলার খতিয়ান করা, আমাদের দেশের তথ্যগুলাকে অন্যান্ত দেশের তথ্যের দাড়ি পাল্লায় হাজির করা । অতীতের কিন্মৎ যাক, এখন আজকের কথা বলা যাক। সকল কাজের ভিতরেই কিছু কিছু চিন্তা করিবার জিনিষ, ধারণা করিবার জিনিষ, মাথার জিনিষের প্রয়োজন আছে । আমি জিজ্ঞাসা করি,—আপনার জীবনে, আমার জীবনে কিম্বা অন্ত কোন মানুষের জীবনে এমন কোনো মুহূৰ্ত্ত আছে কি যে মুহূৰ্ত্তটা অতি মাত্রায় সুন্দর, অতি মাত্রায় মধুর ? যে মুহূৰ্ত্তকে আমরা বলিতে পারি ;–“রে মুহূৰ্ত্ত, তুই অতি মধুর, অতি সুন্দর, তোর মত মধুর আর কিছু নাই—তোর সমান সুন্দর আর কিছু হইতে পারে না । তুই একবার দাড়া, তুই যেখানে আছিস সেইখানেই দাড়া, তোকে ভাল করিয়া দেখিয়া লই, তোকে তলাইয়া মজাইয়া বুঝিয়া লই, তোর পশ্চিম পূৰ্ব্ব, উত্তর দক্ষিণ হইতে তোৰুে চাখিয়া লই।” যদি আপনার কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন “মাজুষের জীবনে এমন কোনো মুহূৰ্ত্ত আছে কি ? কারু জীবনে এ রকম মুহূর্ত আসিয়াছে কি ?” এর উত্তরে আমি বলিৰ —এ আসেন—জাসিতেই পারে নয়,